Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চরফ্যাশনে ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ : আদালতে মামলা

চরফ্যাশন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে জনবল নিয়োগে এমপিও ভূক্তির আবেদন করে বিপাকে পড়েছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার ও শিক্ষক কর্মচারীরা।
গত ৬ জুলাই ঘোষিত এমপিওর তালিকায় ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদরাসাসহ ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভূক্ত হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মাওঃ রুহুল আমিন প্রতিষ্ঠাকালীন ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ সংক্রান্ত সভাপতির (ইউএনও) স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মাদরাসা অধিদপ্তরে এমপিও ভূক্তির আবেদন করে। মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক কর্মচারীরা এমপিও ভূক্তির তালিকা থেকে বঞ্চিতরা ভোলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জালিয়াতির ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করে।
জানা যায়, উক্ত মাদরাসায় সৃজিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ০৩/১০/২০০৪ ও ১০/১২/২০০৪ ইং তারিখে দৈনিক ইনকিলাব ও একটি আঞ্চলিক পত্রিকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখানো হয়েছে। উক্ত তারিখে দৈনিক ইনকিলাব ওই মাদরাসার কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়নি। নিয়োগ জালিয়াতির সাথে চাঁদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় তজুমদ্দিন এর ২০০৪/৪১ তাং ২০ অক্টোবর/০৪ তারিখের স্বাক্ষরিত ডিজির প্রতিনিধির পত্রটিও জালিয়াতি করা হয়েছে। উক্ত নিয়োগে ভোলা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের প্রাপ্যতা ও ডিজির প্রতিনিধির পত্রেও জাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ২০০৪ সালে তৎকালিন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল হক ও ২০০৮ সালে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল উক্ত মাদরাসার সভাপতি থাকাকালীন সুপার শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের কাগজপত্রে স্বাক্ষর জাল করে।
নিয়োগকালীন সভাপতি প্রাক্তন চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল হক জানান, তিনি এ মাদরাসার কোন নিয়োগের কাগজে স্বাক্ষর করেননি, যা তিনি মাদরাসা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছেন। তবে মাদরাসাটির এমপিওর আদেশ প্রাপ্তির পর চরফ্যাশন বাজারের একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তাকে কিছু নিয়োগের কাগজে সাইন করতে বললে তিনি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
২০০৮ সালে চরফ্যাশন উপজেলার কর্মরত নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, তার কর্মকালীন সময়ে ওই মাদরাসার কোন নিয়োগের কার্যক্রম হয়নি। তিনি তার স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি অবহিত হয়ে মহাপরিচালক মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার কর্তৃক এমপিও ভুক্তির আবেদনকৃত শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া জাল জালিয়াতিভাবে সম্পন্ন হয়েছে মর্মে তিনটি মামলা হওয়ায় উক্ত মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভূক্তির আবেদন প্রাথমিক ভাবে বাতিল করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ