বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। এই নিয়ে পরপর চারবার তিনি এই তালিকার শীর্ষে অবস্থান পেলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস ২০১৬ সালের ৭৪ জন ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছেন পুতিন। তালিকায় ট্রাম্প দ্বিতীয় ও মারকেল তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। বিশ্বের প্রায় ৭৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ক্ষমতার বিচারে সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে রয়েছেন ৭৪ ব্যক্তি। কথা, কাজ এবং বিত্ত দিয়ে গোটা বিশ্বে ক্ষমতাধরের আসনে জায়গা করে নিয়েছেন তারা। এই নিয়ে পরপর চার বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ স্থান পেলেন। ফোর্বসের মতে, পুতিন নিজের দেশ, সিরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবক্ষেত্রেই যা চেয়েছেন তিনি তাই পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থান পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোনও কেলেঙ্কারি, কোনও সমালোচনা স্পর্শ করতে পারেনি। ক্ষমতায় বসার পথে তার জয়যাত্রা ছিল অব্যাহত। কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই এখন তার নিয়ন্ত্রণে এবং অর্থসম্পদের দিক দিয়ে তিনি অন্যতম ধনকুবের। তৃতীয় স্থানে অবস্থানকারী অ্যাঙ্গেলা মারকেল এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর নারী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরুদণ্ড। উল্লেখ্য, এই তালিকায় ৭৪ জনের মধ্যে মাত্র ৬ জন নারী রয়েছেন।
ফোর্বসের তালিকা তৈরির জন্য তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ’ ব্যক্তির নাম বিবেচনায় নিয়েছিল এবং চারটি বিষয়ে এদের যোগ্যতা বিচার করে তালিকায় এদের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমত, তারা দেখেছেন বিশ্বের কতো মানুষের ওপর তাদের ক্ষমতা বিস্তৃত। যেমন পোপ ফ্রান্সিস, এই তালিকায় যিনি পাঁচ নম্বরে স্থান পেয়েছেন, তিনি বিশ্বের একশ’ কোটির বেশি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর আধ্যাত্মিক নেতা। ২৭ নম্বরে থাকা ডাগ ম্যাকমিলান যিনি ওয়ালমার্ট নামে বিপণীকেন্দ্রের মূল নির্বাহী কর্মকর্তা সেই প্রতিষ্ঠানে তার অধীনে বিশ্বব্যাপী কর্মীর সংখ্যা ২৩ লাখ, অর্থাৎ ক্ষমতার দিক দিয়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ২৩ লাখ মানুষকে। এরপর দেখা হয় এদের বিত্ত বা অর্থসম্পদের ক্ষমতা। সেই বিচারে তাদের অবস্থান। এখানে ব্যক্তিগত অর্থ সম্পদ ছাড়াও তাদের অন্যান্য মূল্যবান সম্পদও হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন সউদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদের ব্যক্তিগত অর্থ সম্পদ ছাড়াও বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলের মজুতের নিয়ন্ত্রক তিনি। এরপর বিচার করা হয় একাধিক ক্ষেত্রে এরা কতটা ক্ষমতাশালী। যেমন কেউ হয়ত একাই মোটরগাড়ি, বিমান এবং প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে ক্ষমতাধর। একাধিক ক্ষেত্রে ক্ষমতাবানদের স্কোর এতে অনেক উঁচুতে উঠেছে।
সর্বশেষ ফোর্বস দেখেছে এইসব ব্যক্তি তাদের ক্ষমতা কতটা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পেরেছেন। যেমন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিং জন উন তার দেশের ২৫ কোটি মানুষের উপর তার ক্ষমতা ব্যবহার করেন। ফোর্বসের সম্পাদকদের একটি প্যানেল এই চারটি দিক বিবেচনা করে তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছেন।
এবছরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে এমন সময়ে যখন বিশ্ব একটা দ্রুত ও ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই তালিকায় শীর্ষ স্থানে যারা উঠে এসেছেন ফোর্বসের বিচারে আগামী কয়েক বছর বিশ্বের ঘটনাবলীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু তাদের তালিকায় ৭৪ জন ব্যক্তিত্ব কেন? এ প্রশ্নের জবাবে ফোর্বসের বক্তব্য, বিশ্বের প্রতি ১০কোটি জনগণের জন্য তারা ক্ষমতাশালী একজনকে তালিকাভুক্ত করেছে। তাই ৭৪০ কোটি জনগণের ক্ষমতার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন ৭৪ জন। বিবিসি, টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।