রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনীতে শীত মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভাল ফলন ও অধিক লাভের আশায় কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন বুনতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অতিতের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা উঁচু ভিটে জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপন ও পরিচর্যায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সবজি ক্ষেতগুলো কৃষিপ্রেমী কৃষকদের পদভারে মুখরিত। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু সবুজের সমারোহ। মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাধাকপি, করলা, লাউ, শিম, পালং শাক, লাল শাক, মুলা শাকসহ হরেক রকমের শীতকালীন সবজির চারা। সরেজমিন পরিদর্শনে এসব চিত্র দেখা যায়।
শীতের শুরুতে বাজারে সবজির দাম ভাল থাকে তাই কৃষকরা শীতের শুরুর আগ থেকেই সবজি চাষে মনোযোগী হন। ফসলি জমিতে ধান চাষে কৃষকরা আগের মতো তেমন একটা সুবিধা বা লাভ করতে পারছেন না। তাই অনেক কৃষক সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। এছাড়াও এ পেশায় অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকে পেশা বদল করে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফেনীতে এবার মোট ৯৩০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছয়টি উপজেলার মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ৩৬৭ হেক্টর, ফুলগাজী উপজেলায় ৪০ হেক্টর, পরশুরাম উপজেলায় ৭১ হেক্টর, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১২১ হেক্টর, দাগনভূঞা উপজেলায় ৯৪ হেক্টর ও সোনাগাজী উপজেলায় ২৩৭ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বেগুন, মুলা, টমেটো, শিম, বরবটি, শসা, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকেরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক ইউছুফ ও নুর মোহাম্মদ বলেন, বর্তমানে সবজি চাষে লাভ বেশি পরিশ্রম কম। সবজি চাষে খুব বেশি জায়গারও দরকার হয় না এবং স্বল্প সময়ে সবজি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক টাকা আয় করা যায়। তারা বলেন, সবজি চাষের ক্ষেত্রে শুধু সঠিক পরিচর্যা, নিবীড় পর্যবেক্ষণ ও সেবার প্রয়োজন, তাহলে একজন কৃষক তার কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবে।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগে সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কৃষকদের আবাদকৃত সবজি ক্ষেতের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে ওই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের সাময়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পুনরায় সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অধিকাংশ ব্যবসায়ী বলেন, শীত মৌসুমের শুরুতে সবজি বাজারে তুলতে পারলে ভাল দাম পাওয়া যায়। বিশেষ করে সদর উপজেলা ছাড়াও সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় সবজির চাষ বেশি হয়। দেশে আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফেনীতে এবার সবজি উৎপাদনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন বলেন, ফেনীতে কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে প্রান্তরে অনেক সময় ব্যয় করছেন। জমির পরিচর্যার পাশাপাশি বীজতলা তৈরি, চারা উৎপাদন, রোপণের বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কিছুটা সাময়িক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কৃষকরা শীতের সবজি বাজারে তুলে আনতে অবিরাম কাজ করছেন। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।