পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা বাহাত্তুরের সংবিধান ফিরে যেতে চাই। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের অনেক কিছুই ফিরে পেয়েছি। ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে আর কিছুটা ফিরিয়ে পাওয়ার চেষ্টা করেছি। সেখানে কিছুটা বাধা-বিপত্তি এসেছে এবং এটি এখন সাবজুডিস ম্যাটার। আমরা অবশ্যই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তার কারণ আমরা বাহাত্তুরের মূল সংবিধানে ফিরে যেতে চাই। কখন, কীভাবে কোন বাস্তবতার নিরিখে এটা করা হবে, সেটা দল ও সরকার নির্ধারণ করবে।
গতকাল শনিবার ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। ধানমন্ডিস্থ ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের আগে কারাগারে পাঠানোর ব্যাপারে সরকারের এখনো কোনো চিন্তাভাবনা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন। যদি বাড়াবাড়ি করা হয়...। কারণ নির্বাহী আদেশ যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায় বা বাড়ানো যায়।
আলোচনা শেষে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এরকম প্রশ্নে সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয়া সম্ভব নয়। প্রথম কারণ হচ্ছে, আগে সরকারের নীতিনির্ধারণীতে আলাপ-আলোচনা হয় তারপর। দ্বিতীয় হলো যে দল সরকার গঠন করেছে, সে দলের মধ্যেও আলাপ-আলোচনা করতে হয়। তিনি বলেন, এখন আমি যেটা মনে করছি সেটা হচ্ছে। ১৫তম সংশোধনীতে আমাদের অরিজিনাল সংবিধানের তথা ৭২ সংবিধানে অনেকাংশে ফিরে গিয়েছি। ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমেও আরো কিছু ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সেখানে বাধা-বিপত্তি আছে। এটা এখন বিচারাধীন।
রাষ্ট্রধর্মের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সবাই বলে ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ ইসলাম ধর্ম (রাষ্ট্রধর্ম) হবে না কেন? এই যে চিন্তাটা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে তা থেকে আগে বের করে আনতে হবে। এই চিন্তা থেকে বের করে আনার প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম বাদ দেয়ার ব্যাপারে অবশ্যই চিন্তাভাবনা আছে। কারণ হচ্ছে আমরা ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে চাই। কখন, কোন সময় বাস্তবতার নিরীখে করা হবে বা করা হবে না, এটা দল এবং সরকার সিদ্ধান্ত দেবে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ রাখার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার যাতে বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্যই আমরা সরকার গঠন করেছি। কাজও করে যাচ্ছি। যদি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য কোনো আইন করার ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিই, তাহলে তো আমি যে ম্যানডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে এসেছি, তার বিরুদ্ধে ভোট দেয়া হবে। সেই ক্ষমতা কিন্তু জনগণ আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেয়নি।
আমি যদি স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে এমপি হতাম, তাহলে আমার ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারতাম। সুতরাং যেখানে আমি দলের প্রতীক নিয়ে, দলের ইশতেহার দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এসেছি, সেখানে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারি না।
সংবিধানের ৯৬(২) অনুচ্ছেদ বা ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় কার্যকর না হওয়া প্রাসঙ্গিক এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পেন্ডিং রয়েছে। আশা করছি, এ রিভিউ পিটিশনের শুনানি কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে রায় দেবেন, আমরা ঠিক সেভাবেই কাজ করব।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় উচ্চ আদালতে তারেক রহমানের সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা অপেক্ষা করুন, দেখুন কি হয়।
বিলিয়ার চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এসময় লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো: মইনুল কবির, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।