Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রংপুর বিভাগে ২ বার শ্রেষ্ঠ হরিপুরের চরভিটা প্রাথমিক স্কুল

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলা পর্যায়ে পর পর তিন বার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ও রংপুর বিভাগে দু’বার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় যাচাই-বাছাই পদক কমিটি প্রধান শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকার রাখার জন্য হরিপুরের চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত করে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার। স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যালয়ের পড়া-লেখার মান অত্যন্ত ভালো। গুণগত শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রধান শিক্ষক মো. এরফান আলী নিজ উদ্যোগে আমাদের মর্নিং ও নাইট ক্লাসের মাধ্যমে বাড়তি পড়া-লেখা করান। এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বাইরে কোনো কোচিং করতে হয় না। জেলা প্রশাসক ও যাচাই-বাছাই জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, হরিপুর উপজেলার চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এবারও জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়ে রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। ভাবতে ভাল লাগছে শিক্ষা পাগল, শিক্ষক একজন এরফান আলী। চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান আলী, ম্যানেজিং কমিটি ও সব শিক্ষককে সবসময় উৎসাহ দিয়ে আসছে। তারা যেন সামনে আরো এগিয়ে যায় সেই প্রত্যশা করি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনছুর রহমান দৈনিক ইনকিলাব ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি এস,কে মাসুদ রানা কে বলেন, জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস্টার ভিত্তিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার জন্য জেলা যাচাই-বাছাই ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটির কাছে ৩টি বিদ্যালয়ের নাম দাখিল করা হলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে হরিপুর উপজেলার চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শিক্ষা পদক কমিটি শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রধান শিক্ষক মো. এরফান আলী বলেন, চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। অকালে ছাত্র-ছাত্রী ঝরে যেন না যায় সে লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের আমি নিজ উদ্যোগে ২০১৪ সালে মিড-ডে-মিল চালু করি। নিজ অর্থায়নে মিড-ডে-মিল চালু করার আমার এই উদ্যোগ সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত চালু রয়েছে মিড-ডে-মিল। ছাত্র-ছাত্রীদের বিনোদনের জন্য বিদ্যালয় সংলগ্ন নিজ জমিতে তৈরি করা হয়েছে একটি শিশু পার্ক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ