পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিশ্বে অতুলনীয়।
‘অতীতে প্রথম ও দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব সম্পূর্ণভাবে আমরা মিস করেছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কর্মসূচির ফলে আংশিকভাবে শরীক হতে পেরিছি। এরই ধারাবাহিকতায় গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ-বেয়ে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণ করে শিল্পোন্নত দুনিয়ার সাথে সমান্তরালে চলেছে এবং এখন পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের পথে হাটছে।
মন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাাঁও হোটেলে ‘বাঘ ইকো মোটরসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ৪ বছর পরিশ্রমের পর সৌরবিদ্যুৎচালিত টু-হুইলার, থ্রি-হুইলার ও ফোর-হুইলার ইলেকট্রনিক গাড়ি নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করলো বাঘ ইকো মোটরস। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির এই গাড়িগুলোতে রয়েছে ইন্টারনেট সুবিধাসহ ফ্রি ওয়াইফাই, জিপিএস ট্র্যাকিং, মোবাইল চার্জ সুবিধা, প্যানিক বাটন, ২৪ ঘণ্টা ভিডিও মনিটরিং ব্যবস্থা, ব্যাটারি ও চার্জিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
বাঘ ইকো মটরস’র সত্ত্বাধিকারি কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অভিনেতা আফজাল হোসেন, বাঘ ইকো মোটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদ নওরিন জাহান , এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জহির এবং সফটওয়্যর প্রকৌশলী মঞ্জুর আহমেদ বক্তৃতা করেন।
এর আগে মন্ত্রী ফিতা কেটে বাঘ ইকো মটরস’র উদ্বোধন করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তিকে দিন বদলের হাতিয়ার হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির চাইতে জনবান্ধব আর কিছু নেই। আমরা যত কিছুই করি, প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের পক্ষে মানুষের জীবনকে সহজ-সরল এবং কষ্টহীন করার কোনো উপায় নেই।’
ডিজিাটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও ইউপিইউ’র সদস্যপদ অর্জন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করে গেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাড়ে ১৮ বছরের শাসনামলে সেই বীজটিকে চারা গাছ থেকে আজ তা মহিরূহে রূপ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন এ দেশে একটিও শিল্প-কারখানা ছিল না। যে কয়টি ছিল সবগুলোর মালিক ছিল পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানিরা যখন পালিয়ে যায়, তখন পরিত্যক্ত কারখানাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
এ সময় মন্ত্রী জানান, ‘বাঘ ইকো মোটরস লিমিটেড শূন্য থেকে উঠে এসেছে। এটি কেবল বাংলাদেশের মানুষের কাছে উদ্ভাবনের প্রতীক হিসেবে থাকবে না, দক্ষিণ এশিয়া কিংবা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে উদ্ভাবনের প্রতীক হয়ে থাকবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।