পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতির মেধাবী সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দলের হাজারো নেতাকর্মী সাথে নিয়ে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা শহীদ হয়েছেন, দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই স্বপ্ন আজো পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও আজ গণতন্ত্র অবরুদ্ধ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল্যেবোধ হারিয়ে ফেলছি। গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। একই সঙ্গে মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে হবে। তাহলে আমাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা পাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭১সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা সরাসরি বিরোধীতা করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ। বিএনপি সব সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার চায়। তবে সেটা যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে না হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে বিজয়ের মাত্র একদিন আগে বাংলাদেশের এই জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে নীলনকশা, বাংলাদেশের বিশিষ্ট বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের নির্মম, পাশবিকভাবে হত্যা করে তারা এই জাতিকে মেধাশূন্য করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু যেই জাতি যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছে, সেই জাতিকে কখনোই পরাজিত করা সম্ভব হয় না। সেই জন্যই আজকে তারা আবার ওঠে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আমাদের সেই সব বরেণ্য শহীদ, যারা মেধা দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করে তুলেছিলেন, সেসব মহান শহীদদের, যারা এই দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে তাদের আজকে আবার স্মরণ করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে প্রায় ৪৬ বছর পরও আমরা বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যে কারণে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, সেই গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য, মৌলিক অধিকারের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য, সেটা আজো আমরা অর্জন করতে পারিনি। সে অধিকারটুকু আমরা হারিয়ে ফেলছি। তাই এই দিনে আমরা শপথ নিতে চাই, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিকে স্মরণ করে, তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে আবার যেন মেধার একটি দেশ, মুক্ত চিন্তার একটি দেশে পরিণত করতে পারি, সেই শপথ আমরা গ্রহণ করছি।
শ্রদ্ধা জানানোর সময় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ছিলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আমিনুল হক, কাজী আবুল বাসার, মীর সরাফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তাবিথ আউয়াল, ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস ও হেলেন জেরিন খান, শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, জুলফিকার মতিন, ইউনূস মৃধা, আতিকুল ইসলাম মতিন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গির হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ঢাকা মহানগরীর জয়নাল আবেদীন রতন, রবিউল আউয়াল, শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম দেওয়ান গিয়াস, মাসুদ খান, সৈয়দ মনজুর হোসেন মঞ্জু, গাজী রুহুল কুদ্দুস, ওসমান গনি শাহজাহান, এনায়েতুল হাফিজ, ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, তাসভিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।