Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আগামীকাল ভারত হারলে, জিম্বাবুয়েতে বিয়ে করবেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৫৬ পিএম

খোলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে ইদানিং অনেক অভিনেত্রী নানা বিতর্কিত ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসছেন। উত্তেজনার ঢেউ গ্যালারি ভেদ করে আছড়ে পড়ে সমর্থকদের মধ্যে। এই যেমন চলমান টি-টিয়োন্টি বিশ্বকাপের সময়েই পাকিস্তানের অভিনেত্রী শেহার শিনওয়ারি জানালেন জিম্বাবুয়ের কোনও বাসিন্দাকে বিয়ে করতে চান তিনি। তবে বিয়ে করার জন্য এক অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের এই অভিনেত্রী সম্প্রতি টুইট করে জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট টিম যদি ভারতকে হারাতে পারে, তবেই তিনি সে দেশের কাউকে বিয়ে করবেন।

তবে এটাই প্রথম নয়, গত ১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ চলাকালীন শেহার অসংখ্য টুইট করতে থাকেন। সেই টুইটে তিনি বলেন, এই ম্যাচে ভারত কোনও ভাবেই জিততে পারবে না। জিতবে বাংলাদেশই।

এর আগে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারত চার উইকেটে হেরে যাওয়ায় টুইটারে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায় পাকিস্তানের এই অভিনেত্রীকে। সে সময় শেহার দাবি করেছিলেন, ভারতের ক্রিকেট টিম আদতে ক্রিকেটটাই খেলতে পারে না। তাই অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের কাছে তাদের খেলা শেখা উচিত।

তবে মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারার পরেই তাঁর ‘ভারত-বিরোধী’ টুইটের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে।

শেহারের এই টুইটগুলি প্রকাশ্যে আসার পরই সমাজমাধ্যমে তাকে নিয়ে হাসি-মশকরা শুরু হয়ে যায়। তাকে নিয়ে নানা মিম শেয়ার করতে থাকেন সমাজমাধ্যমের সদস্যদের একাংশ। শেহারের সমালোচনায় সরব হন বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট ভক্ত দেশের মানুষজন। অনেকেই টুইট করে দাবি করেন যে, শেহার এক জন অবসাদগ্রস্ত মানুষ। হতাশা থেকেই তিনি এমন মন্তব্য করছেন।

কিন্তু শেহার সত্যিই জিম্বাবুয়ের কাউকে বিয়ে করতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করবে আগামীকাল রবিবার (৬ নভেম্বর) ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের ফলাফলের উপরেই।

উল্লেখ্য, শেহারের জন্ম পাকিস্তানের হায়দরাবাদে। মূলত ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী ২০১৪ সালে একটি হাসির ধারাবাহিকে অভিনয় করে প্রচারে আসেন। অভিনয়ের জগতে খ্যাতি পাওয়ার পর শেহার দাবি করেছিলেন, তার পরিবার এবং এলাকার লোকজন চাননি যে, তিনি এই পেশায় আসুন। যদিও তাঁর পরিবার শেহারের এই দাবিকে মানতে চায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ