প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
আমাদের যেসব গান শ্রোতাদের মনে চিরসবুজ হয়ে রয়েছে, সেসব গন চিরসবুজ হয়েছে হৃদয় ছোঁয়া কথা, সুর ও সঙ্গীতের কারণে। দেখা যাচ্ছে, সেসব গান এখন নতুন করে গাওয়ার নামে মূল সুর ও সঙ্গীত, অনেক ক্ষেত্রে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে শ্রোতাদের মনে সেই গানটির যে মৌলিক আবেদন তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চেনা সুর অচেনা হয়ে যাচ্ছে। তারা বিরক্ত হচ্ছে। এমন অনেক গান গাওয়া হচ্ছে ভিন্ন সুরে। অথচ যাঁর কণ্ঠে ওই গানটি বিখ্যাত হয়েছে, তাঁর অনুমতি নেয়া হচ্ছে না। ভুল সুরে, ভুল উচ্চারণে, মানহীন শব্দে হরহামেশাই গাওয়া হচ্ছে গানগুলো। সঙ্গীতজ্ঞরা বলছেন, একটা সময় ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। ক্যাসেটে গানের অ্যালবাম প্রকাশ করা হতো। এরপর সিডি, এমপিতে গান শোনা শুরু হলে হারিয়ে যায় ‘ক্যাসেট যুগ’। বর্তমানে এসব ছাড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছে অনলাইনে গানের প্রকাশনা। ইউটিউব, ফেসবুকের মাধ্যমে শ্রোতারা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে উপভোগ করতে পারছেন সেইসব গান। এখন শিল্পীরা ইউটিউবেই গান প্রকাশ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। দেখা যাচ্ছে, যেকেউ গায়ক হয়ে যাচ্ছে। সেসব অধিকাংশ গানের সুর, কথা, ছন্দ কিংবা রচনা মাধুর্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী নয়। সঙ্গীতজ্ঞরা মনে করেন, শ্রোতাদের রুচি পরিবর্তনে মানসম্মত গান খুব কম তৈরি হচ্ছে। এছাড়া গনের চেয়ে এর ভিডিওর ওপর বেশি জোর দেয়ায় গানের চেয়ে সেদিকে বেশি দৃষ্টি চলে যাচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে ভিডিও করা দোষের কিছু নয়, তবে গান এবং ভিডিও দুটোর সমন্বয় খুবই জরুরি। গানের চেয়ে ভিডিওর ওপর জোর দেয়ার কারণে গানটি শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। একই সাথে পুরানো গানগুলোর রিমিক্স করার ফলে সেগুলোর মৌলিকত্ব হারাচ্ছে। স্বর্ণালী দিনের গানের সুর, কথা কিংবা কণ্ঠে সুরেলা ধ্বনি এখন আর গানগুলোতে লক্ষ্য করা যায়না। সঙ্গীত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে গান ভাল করে রপ্ত করার প্রতি অনীহা রয়েছে। বেশির ভাগ শিল্পী প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গীত শেখার দিকে মনোযোগী নয়। নতুন শিল্পীদের মধ্যে আগের শিল্পীদের মতো সকালে উঠে রেওয়াজ করা, ভাল গান শোনা কিংবা নতুন সুর নিয়ে ভাবনা এবং পরিশ্রম করার মনমানসিকতার অভাব রয়েছে। দেশে এখন সঙ্গীত শিক্ষা, চর্চার নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিভাগও রয়েছে। তবে মানসম্মত শিল্পী তৈরি হচ্ছে না। বরং ভুল সুরে, ভুল উচ্চারণে, মানহীন শব্দে হরহামেশাই গাওয়া হচ্ছে গান। একসময় গান রচনা করা হতো এই ভেবে যে, গানটির আবেদন যেন স্থায়ী হয়। এসময়ের গানে সেই আবেদন খুব কম থাকে। ফলে নিমিষে হারিয়ে যায়। সাময়িক আনন্দ দিলেও স্থায়ী হচ্ছে না। আগের মতো কেউ আর মনে রাখে না। গানকে স্থায়ী করার জন্য প্রয়োজন সঙ্গীতের প্রতি সঙ্গীতপরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের সময় নিয়ে গবেষণা ও চর্চা করা। আগে যেভাবে একেকটি কালজয়ী গান রচিত হতো সেদিকে দৃষ্টি দেয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।