বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জয়পুরহাটে সাংবাদিক আহসান হাবিবকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে চলে আসা সংকট নিরসনে দু পক্ষের উঠোন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশের কণ্ঠ পত্রিকার জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি আহসান হাবিব। সেখানে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারিক দুলাল তার গুন্ডাবাহিনী আক্রমণ চালায় জানা গেছে।
গেল বুধবার (২ নভেম্বর) রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহসান হাবিব বলেন, দু পক্ষের পারিবারিক কোন্দলকে কেন্দ্র করে বাকযুদ্ধের মাধ্যমে এক টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেখানে বিবাদ মীমাংসার জন্য গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সাংবাদিক আহসান হাবিব একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়াতে ডাকা হয়। আলোচনার শেষ পর্যায় বৈঠক স্থলের মালিক সাইফুল ইসলাম ও সাবেক মেম্বার দুলাল ও তার সহপাঠীদের কৌশলে বাড়িতে ঢুকান। ততক্ষণে কিছু লোকজন বৈঠক থেকে উঠে যান, সে সুযোগে বাড়ির দুদিকের দরজা তালাবন্ধ করে সাংবাদিক আহসান হাবিব ও প্রতিবেশী জোবায়ের হোসেনের উপরে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুসি ও লাঠি চার্জ করে দুলালের নেতৃত্বে বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম, তার ছেলে ওমর ফারুক, স্ত্রী কমলা, মেয়ে শাপলা, দারাজ মন্ডল, মাহিনসহ ১০-২৫ জন।
পরবর্তীতে সাংবাদিক আহসান হাবীব ও জোবায়েরের চিৎকারে গ্রামবাসীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।
একই গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ জানান, আমিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম, আলোচনার শেষ পর্যায় কিছু লোক চলে যায়। হঠাত সাবেক মেম্বার বাড়িতে ঢোকে। তারপরই কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির দরজা বন্ধ করে আলোচনা চলাকালীন সময়ে সাইফুলের মেয়ে শাপলা জোবায়েরের গালে পিছন থেকে এসে থাপ্পড় মারতে শুরু করে, আহসান হাবিব এটার প্রতিবাদ করার চেষ্টা করাতে চতুর্দিক থেকে সাংবাদিক আহসান হাবিব ও জোবায়েরের উপরে আক্রমণ শুরু করে।
ফেরদাউস হোসাইন জানান, আমিও বৈঠকে ছিলাম, ব্যক্তিগত কিছু কাজ থাকায় এক পর্যায়ে বাড়ি ফিরে কিছুক্ষণ পর চিল্লাচিল্লির আওয়াজ কানে আসে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সেখানে অনেক মানুষ, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ, ভেতরে মারপিটের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে এমনতো অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক এই ইউপি সদস্য আব্দুল বারিক দুলাল।
এ বিষয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা একটা জঘন্য অপরাধ। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শালিসি বৈঠকে আমারও থাকার কথা ছিলো কিন্তু জরুরি কাজে ঢাকায় থাকায় তা সম্ভব হয়নি। সাবেক মেম্বার একজন সন্ত্রাসী, নারি কেলেংকারি, হাইজ্যাক, মাদক, জুয়া ও চোরাকারবারিসহ বিভিন্ন মামলার সে আসামী। গ্রামের পরিবেশকে সে নানাভাবে নষ্ট করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, আহসান হাবিবের দেওয়া একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।