Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বালু ব্যবসায়ীদের দখলে সড়ক চরম দুর্ভোগে পঞ্চগড়ের মানুষ

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা থেকে দেবীগঞ্জ ও ব্যারিস্টার বাজার থেকে আমতলা সড়ক প্রায় ৪০ কি.মি. বালু ব্যবসায়ীরা দখল করে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। সড়ক বন্ধ করে ট্রাক দাঁড় করিয়ে চলছে লোড-আনলোড। সড়কের বেশির ভাগ জায়গায় বালুর স্তূপ আর সারা দিন বালুর ট্রাকের দখলে থাকায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর। ঘটছে দুর্ঘটনাও।

সরেজমিন দেখা যায়, ধাক্কামারা থেকে দেবীগঞ্জ সড়কের, ধাক্কামারা, আহমদনগর, ফুলতলা গড়েরডাঙ্গা, তেপুকুরিয়া, বোয়ালমারী, ফুটকীবাড়ী, জংলীপির, ধুলাঝাড়ি, বটতলি, ব্যারিস্টার-আমতলা সড়কের দোমনি সরকারপাড়া, লাঠুয়াপাড়া মিলনবাজার জায়গায় বালু রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। সড়কের পাশে বালুর চাতাল তৈরি করে সেখানেই বালুবাহী ট্রাক লোড-আনলোড করা হচ্ছে। ১০ চাকার ভারি ট্রাক চলাচল করায় নষ্ট হচ্ছে সংযোগ সড়কগুলো। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সড়কের ওপর দিন দুপুরেই শত শত ট্রাক দাঁড় করিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। সংযোগ এই সড়কগুলোতে ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ৩০ থেকে ৪০ টন বালু নিয়ে দিব্যি চলাচল করছে ১০ চাকার ট্রাক। প্রতিদিন শত শত ট্রাক হাজার হাজার টন বালু নিয়ে চলাচল করায় সড়কগুলোর ইট-বিটুমিন উঠে গেছে। কোথাও কোথাও দেবে গিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বালুর ট্রাক চলাচল করায় প্রতিনিয়ত উড়ছে ধুলাবালু। পিচঢালা পাকা রাস্তা হলেও বালু জমার কারণে যেখানে সেখানে রাস্তাগুলো কাঁচা রাস্তার মতোই হয়ে গেছে। দোমনি সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বালুর ঢিপের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম কষ্টে রয়েছে।

মারেয়া এলাকার শিক্ষক ওবায়দুর রহমান জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে কিন্তু ব্যবসায়ীদের নিজস্ব জায়গায় বালু লোড-আনলোড করার পরিবর্তে রাস্তার দু’পাশে বালু লোড-আনলোড করছেন। ওই সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন অটো ও সিএনজি চালক জানান, সড়কে বালু ব্যবসায়ীরা ট্রাক দাঁড় করিয়ে লোড-আনলোড করেন। এতে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে এ সড়কে গাড়ি চালাতে পারছি না। এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ