বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের সকল অর্থনৈতিক সেক্টরে ধ্বস নেমেছে। দেশের জনগণ বাঁচাতে দরকার বিত্রনপির সরকার। দেশের
সকল নিত্যপন্যের লাগামহীন দাম। চাল, তেল, ডাল,লবন,কাঁচা তরিতরকারিসহ এমন কোন জিনিস নাই তার দামে বাড়েনি। দেশের মানুষ বড়ই অসহায়। দিশেহারা মানুষ একমাত্র জাতীয়তাবাদী দলের উপর বিশ্বাস করে চেয়ে আছে। কারন, বিত্রনপিই একমাত্র জনতার দল। দেশ ও জনগনের স্বার্থে রাজনীতি করে।
তিনি আরো বলেন, বিগত ২ মাস আগে বিত্রনপির মহাসচিব ফরিদপুরের ১২ই নভেম্বর, সমাবেশ করার ঘোষনা দেন।
অথচ একই দিনে বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগ সহ তাদের অঙ্গদল ফরিদপুরে রেকটি একটি পাল্টা ভৈতিক সমাবেশ আহ্বান করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।
আওয়ামীলীগ ইচ্ছে করে একটি গণ্ডগোল পাকানোর চিন্তা করছে। আসলে আমরা শান্তিপুর্ন অবস্হান চাচ্ছি। চাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা।
শামা ওবায়েদ,খুব শক্তভাবে জেলার সকল মিডিয়া কর্মীদের সামনে বলেন, ফরিদপুরের সমাবেশে দলের মহাসচিবসহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপিস্হত থাকবেন।
যখন বলেছি এখানে সমাবেশ করবো ইনশাআল্লাহ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আমরা করবোই। ফরিদপুরের ৯ টি উপজেলাসহ শতাধিক এলাকায় আমরা লিফলেট বিতরন করে সমাবেশে জনতা উপস্হিতির সাড়া পেয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ সমাবেত হবে এটা আমরা আশা করি।
পাশের বিভাগ বরিশাল - খুলনা বিভাগীয় শহরের জনস্রোত ঠেকাতে সরকার এমন কোন বাধা নাই যে তারা সৃষ্টি করেনি।
তারপরও মানুষ পায়ে হেঁটে এসে সভায় উপস্থিত থেকেছেন। ফরিদপুরেও ১১ নভেম্বর শ্রমিক সংগঠনকে অবরোধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা আমরা জেনেছি। আমি শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলেছি তারা বলছেন উপরের চাপ আছে।
পাশা-পাশি ফরিদপুর জেলা বিত্রনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা ফরিদপুরের বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক এবং সম্মানীত পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে, দলীয়ভাবে এবং ব্যাক্তিগত, স্হানীয় রাজেন্দ্র কলেজের মাঠটি সমাবেশ স্হল হিসেবে বরাদ্ব চেয়েছে।
অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের কোন কথাই বলা হয়নি। শহরে মাইকে প্রচার চালানো থেকে আমরা বিরত আছি। কারন আমরা নিরুপায়। আমরা শান্তি চাই। বিশৃঙ্খলা চাই না।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ই নভেম্বর বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গন সমাবেশ সফলের লক্ষে ফরিদপুর জেলা বিএনপির ফরিদপুর প্রেসক্লাবে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন।
জেলা বিত্রনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা এর সভাপতিত্বে, সময় উপস্হিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ,বিত্রনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, বিভাগীয় অপর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক,মোঃ সেলিমুজ্জামান ভঁইয়া সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মাহবুবুল হাসান ভু্য়া পিঙ্কু, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক , চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ, জেলা বিত্রনপির যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকর হোসেন জুয়েল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব,, একে এম কিবরিয়া স্বপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আফজাল হোসেন খান পলাশ, বিত্রনপি নেতা এবি সিদ্দীকি মিতুল,
ফরিদপুর জেলা জেলা যুবদলের সভাপতি, জনাব রাজীব হোসেন,যুদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
,যুবদল নেতা কেএম জাফর, মহানগর যুবদলের সভাপতি জনাব বেনজীর আহমেদ তাবরীজ, মোঃ শামীম হোসেন,মোঃ সেলিম মিয়া,মোঃ মুরাদ হোসেন,
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সকল নেতৃবৃন্দ, আগামী ১২ ই নভেম্বর, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশকে সাফল্য মন্ডিত করতে ফরিদপুর জেলা বিএনপি, সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
উক্ত সাংবাদিক সম্মেলন, থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির সমাবেশে পরিবহণ ধর্মঘট সহ সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মীদের কে সমাবেশ স্থলে আসতে বাধা প্রদান করা হয়েছে। নেতা/ কর্মীদের শারিরিক ভাবে নির্যাতননকরা হয়েছে।
ফরিদপুরেও যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।