বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালে আমরা আঙ্গুল চুসবো না। আহাম্মকের স্বর্গে বাস করেছেন? আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি নয়, যে টোকা দিলেই পরে যাবে। যাদের কাছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ দুরে থাক এতিমের টাকাও নিরাপদ নয় সেই চোরের মায়ের বড় গলা। বিদেশে থেকে ইউটিউবে অপপ্রচার করে মনে করেছে এটাই শক্তি। মিথ্যাচার করে, অপপ্রচার করে পার পাবেননা। আমাদের নেত্রী সাংবিধানিক ভাবে যেমন রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, তেমনি দলকে নিভৃত রাখেন, যাতে কোন রকম উচ্ছৃখল না হয়। তাই আমরা অনুরোধ করি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করেন, কেউ বাধা দেয়নি দিবেও না। কিন্তু যদি আইন আপনারা হাতে তুলে নেন যদি সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করে কোন কর্মসূচি দেন তাহলে তার পরিণাম ভালো হবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে বাসন থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা বিভিন্ন ভাবে সরকারকে হুমকি দিচ্ছে তাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবার হত্যা করে খুনি জিয়া ক্যান্টনমেন্টে বসে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ উচ্ছৃষ্ট বিতরণ করে বিএনপিকে সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি, আওয়ামী লীগের মত রাজপথে সৃষ্টি হয়নি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ ভাবে বিরোধিতাকারী অপশক্তিরা বলে পাকিস্তান ভালো ছিলো। বিএনপি বিহারীদের মত নতুন দালাল সাজতে চায়। যারা পাকিস্তানীদের চায়, মুক্তিযোদ্ধারা জানে তাদের কিভাবে পাকিস্তান পাঠাতে হবে। কিছু বল্লেই আপনাদের বিদেশী প্রভুরা বলবে মানবাধিকার নেই। ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়ে কয়েক লক্ষ লোক পঙ্গু হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই মুক্তিযোদ্ধারা যদি রাস্তায় নামে, কি হবে একবার ভেবে দেখেন। বিদেশী প্রভুদের কিছু আশ^াসে নর্দন-কোর্দন করেন। যে প্রভুরা উস্কানি দিয়ে গাছে উঠাচ্ছে শেষে কিন্তু মই থাকবে না। আবার যদি বলেন ১০ ডিসেম্বরের পরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকবে না। তাহলে ১১ তারিখ যারা অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, সংবিধানকে লঙ্ঘন করে, তাদের কথা বলারই সুযোগ দেয়া হবে না। আপনাদের যে পরিণত হবে, সে জন্য আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনা দায়ি থাকবে না।
অনুষ্ঠানে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও মহানগীর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজার হোসেন সরকার রিপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল প্রমুখ। সম্মেলনে অধ্যাপক (অব.) আব্দুল বারীকে সভাপতি, ফাইজুল আলম দিলীপকে সিনিয়র সহ সভাপতি, আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক ও শফিকুল ইসলাম শফি, আমির হোসেন, রকিব সরকারকে যথাক্রমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাম ঘোষণা করে বাসন থানা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।