রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে অফিস চলাকালীন সময়ে গতকাল বুধবার কর্তব্যরত ডাক্তার, পুলিশ ও রিপ্রেজেন্টেটিভদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তত্বাবধায়কের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৮ জন রিপ্রেজেন্টেটিভকে আটক করেছে। নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, তিনি গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাসপাতালে এসে দেখেন আউট ডোরে ডাক্তারের কক্ষে অতিরিক্ত রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভীড়ের কারণে দূর দূরান্ত এলাকা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা ডাক্তারদের কাছে যেতে পারছে না। তিনি ডাক্তারের কক্ষ থেকে রিপ্রেজেন্টেটিভদেরকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু রিপ্রেজেন্টেটিভরা ডাক্তারের কক্ষ ত্যাগ না করায় তত্ত্বাবধায়ক হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশকে ডাক্তারের কক্ষ থেকে রিপ্রেজেন্টেটিভদেরকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ রিপ্রেজেন্টেটিভদেরকে কক্ষ থেকে বের করে দিতে চাইলে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। এনিয়ে রিপ্রেজেন্টেটিভরা সংগঠিত হয়ে তত্ত্বাবধাকের কক্ষে হামলা চালিয়ে দরজা জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। এ সময় হাসপাতালে আসা রোগীরা আতংকে দিক-বিদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে ৮ রিপ্রেজেন্টেটিভকে আটক করে। নিরাপত্তার ভয়ে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা ডিউটী ছেড়ে তত্ত্বাবদায়কের কক্ষে অবস্থান নেয়ায় প্রায় দুই ঘন্টা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ফলে দূর দূরান্ত এলাকা থেকে আগত রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এ ব্যাপারে রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রতিনিধি লেলিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, সপ্তাহে রোববার ও বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ডাক্তার ভিজিটের অনুমতি রয়েছে। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের সময় এস কে ফার্মা’র রিপ্রেজেন্টেটিভকে বের করে দেয়া নিয়ে পুলিশের সাথে রিপ্রেজেন্টেটিভদের যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সে ব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমানকে ঘটনাটি অবহিত করতেই সকল রিপ্রেজেন্টেটিভরা তার কক্ষে গিয়েছিল। হামলা ভাঙচুরের সাথে রিপ্রেজেন্টেটিভরা জড়িত নন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।