Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যার ১০ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত ইউনুস আটক

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২২, ১০:০৭ পিএম

১০ বছর পালিয়ে থেকেও রক্ষা পেলো না ঢাকার আলোচিত বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাগুরার ইউনুস খন্দকার (৩৬)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের কেল্লাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই মাগুরা সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। ইউনুস খন্দকার মাগুরার সদর উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গী গ্রামের ইয়াকুব খন্দকারের ছেলে।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ চলাকালে দর্জি বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের (ভিক্টোরিয়া পার্ক) সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শাঁখারীবাজারে দর্জির দোকান ছিল বিশ্বজিতের। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে থাকতেন তিনি।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ হত্যাকাণ্ডের দায়েরকৃত মামলার রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তখন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। নিম্ন আদালতের রায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, খন্দকার ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।

পরে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অন্য দুজনকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে দুজন আপিল করে খালাস পান। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে ইউনুস খন্দকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রয়েছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ইউনুস পলাতক ছিল। তাকে আটকের পর মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ