Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেতুসহ সংযোগ সড়কে ভাঙন

দুর্ভোগে ঘিওর উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষ

শাহীন তারেক, মানিকগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় কোশুন্ডা সেতুর গোড়ার মাটিসহ সংযোগ সড়কে ধসে গেছে। ফলে সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ১০টি গ্রামের মানুষ। দ্রুত সেতুটি মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, ঘিওর উপজেলার বলিয়াখোড়া ইউনিয়নের কোশুন্ডা এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীতে নতুন করে ভাঙনের ফলে সেতুটির নিচের দু’পাশের ৬শ’ মিটার পাকা সংযোক সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। সে কারণে এই সেতু দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, অসময়ে নদী ভাঙনের ফলে গত রোবরার বিকেলের দিকে সেতুটির দু’পারের মাটি ধসে একদিকে কাত হয়ে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে কোশুন্ডা, চড় কোশুন্ডা, প্যঁচারকান্দা, শিমুলিয়া, সাইনংজুরী, গোবরচাকা, বেনুরা, চড়বেনুরাসহ সিংজুরী ইউনিয়নের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
জানা যায়, ১৯৮৯ সালে এলজিইডির অর্থায়নে এই সেতুটি নির্মাণ হয়েছিল। এই সব গ্রামের মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সেতুটির ওপারের বৈলট গ্রাম থেকে এপার জাবরা পর্যন্ত আনুমানিক ১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয় ২০১০ সালে।
চরকুশুন্ডা গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রিজটি ধসে যাওয়ার কারণে মানিকগঞ্জ সদর ও ঘিওর সদরের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। সকালে নদী পার হওয়ার জন্য নৌকাও পাওয়া যায় না।
স্থানীয় মহসিন মিয়া বলেন, আগে থেকে যদি ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ কাজ করতো তাহলে এই সেতুটি ধসে যেতো না। আজ আমাদের এত ভোগান্তিতে পরতে হতো না। এখন অনেকটা পথ ঘুরে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথ এই সেতুটিসহ পাশের ভাঙনের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা সেতুর গোড়াসহ ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার জন্য হেড অফিসে প্রস্তাবনার জন্য আবেদনের করা হবে। কিছু দিনের মধ্যেই ভাঙন রোধের কাজ শুরু করবো।
এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ইতোমধ্যে এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাতে মানুষের চলাচলের জন্য কোন ভোগান্তিতে পরতে না হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ