পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মতো দেশের মানুষ আরেকবার সেইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় থাকা এই ভয়াবহ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে তারা সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। গতকাল সোমবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শারদীয় দুর্গাপূজা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক, এটি সব মানুষই চায়। দেশের মানুষের ভোট ও ভাতসহ অধিকারগুলো সুরক্ষিত হোক। আজকে আমরা গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে যে আন্দোলন শুরু করেছি সেখানে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ উপস্থিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে কারো অধিকার সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মূল কথা হলো সবাইকে নিয়ে- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয়তাবাদ। এই জাতীয়তাবাদই হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সবাইকে একটি কথা মনে রাখতে হবে আমরা এখন বিপদে রয়েছি, সংকটে রয়েছি। সেই সংকটটি হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সংকট, সেই সংকটটি হচ্ছে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংকট, সে সংকট হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রের সংকট। এই সংকটকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে।
গোটা জাতি এখন সংকটে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের কথা আমরা সবসময় বলি, স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার চেতনাটা কি? স্বাধীনতার চেতনা ছিল আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষিত করা। স্বাধীনতার চেতনা হচ্ছে সাম্য মানবিক মূল্যবোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সেটাই আজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আগে আমাদের সাথে যিনি সবসময় বসতেন দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাকে আজকে মিথ্যে মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে প্রথমে অন্তরীন করে, এখন তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যে মামলার সাড়া দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু সৌভাগ্য আমাদের তিনি আজকে আট হাজার মাইল দূরে থেকেও যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন দলকে পরিচালনা করছেন, বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বিশ্বাস করি অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ যেভাবে করেছিলো সেইভাবে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে। এই ভয়াবহ অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে তারা সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।