প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বারবার অঘটনে ভয় ধরে গেছে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের। তবু হার মানার পাত্রী নন তিনি। ‘মি টু’ আন্দোলনের পুরোধার দাবি, তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলিউডে। ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাক তনুশ্রীর, এমনই চান ইন্ডাস্ট্রির বহু লোক। সেই তনুশ্রী এবার নতুন অভিযোগ নিয়ে হাজির। নিরাপত্তাহীনতা, জীবন সংশয়, মানসিক অবসাদ— সব কিছু নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তনুশ্রীর। তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে মনে করছেন বলিউডের এই বাঙালি অভিনেত্রী।
বলিউডে ‘মি টু’ আন্দোলনের অন্যতম সদস্য এই নায়িকা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, 'আমি ভেঙেছি, মচকেছি, তবু শেষ হইনি।'
সম্প্রতি নিজের বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়ে তনুশ্রী লিখেছেন, “বন্ধু থেকে শুরু করে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী— সবাই স্বার্থপর, বিশ্বাসঘাতক। আগামী দিনে কী হতে চলেছে জানি না। তবে আমি খুব ভাল পরিবারে বড় হয়েছি। খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমি জানি। আমায় শেষ করা অত সহজ নয়।"
কীভাবে এমন অনিশ্চয়তা তৈরি হলো তার জীবনে? তনুশ্রীর জবাব, গত দেড় বছর ধরে ব্যাপারটা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, আমার বিরুদ্ধে অদ্ভুত কিছু ষড়যন্ত্র চলেছে বলিউডে। ২০১৮ সালের আগে কিন্তু সব ঠিকঠাক ছিল। আমেরিকা থেকে থেকে ফিরলাম ২০২০ সালে। তার পর সবার সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছিলাম। বহু ছবির চুক্তিতে সই করলাম। সব কিছু ভালো চলছিল। মুম্বাইয়ে ফিরে আমি অভিনয়ে ফেরার চেষ্টা করছি। আমার সঙ্গে কাজ করতে অনেকে আগ্রহ দেখায়। কাজ পাচ্ছি, চুক্তিও হচ্ছে। তার পরেই পরিচালক-প্রযোজকরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। এসব কিছুর জন্য দায়ী বলিউডের মাফিয়া-রাজ।
এমন ঘটনার পেছনে তার বন্ধুবান্ধবই জড়িত জানিয়ে তিনি বলেন, আমারই কিছু বন্ধুবান্ধব। নাম বলতে পারব না। তবে এটুকু জানি যে, অপরাধ জগতের কিছু লোক ভাড়া করে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমার পিছনে। যখন উজ্জয়িনীতে ছিলাম, আমায় ঋষিতুল্য এক মানুষ অদ্ভুত তথ্য দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রের কিছু তান্ত্রিক আমার ওপর কালোজাদু ধরনের কিছু প্রয়োগ করতে চলেছে। পদ্ধতিটিকে ‘মারণক্রিয়া’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। যদিও আমি ভালো করে বুঝিনি। এ ধরনের কিছুর অস্তিত্ব আছে, তা-ই জানতাম না। এর পরই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির ব্রেক ফেল থেকে শুরু করে খাবারে বিষ মেশানোর মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র টের পাই আমি।
তিনি অভিযোগ করে আরও জানান, বলিউডে এর পর থেকেই আর কাজ পাচ্ছেন না তিনি। এর পিছনে বলিউডের মাফিয়া রাজও জড়িত বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮-য় ‘মি টু’ আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলিউডে যৌন হেনস্তার শিকার হওয়ার কথা ফাঁস করেছিলেন তনুশ্রী। সন্দেহভাজন হিসেবে তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছিলেন অভিনেতা নানা পাটেকরের নাম। তখনই আঙুল তুলেছিলেন নানা, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য ও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দিকে। এরপর ২০২১ সাল থেকে নানা ধরনের হুমকি পেয়ে আসছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।