বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ২০১৯ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে তাদের রেজিস্ট্রেশনই বাতিল হয়ে যাবে বলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় রাধাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে ইউনিয়ন যুবলীগ ও আলীয়া মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন এক সময় কোটালিপাড়া অসুরের সাথে লড়াই করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছিলো। আবার ২০০১ সালে বিএনপি যখন হিন্দুদের উচ্ছেদ করছিলো গৌরনদী আগৈলঝাড়া থেকে, তখন আমি বিএনপিকে বলেছিলাম যদি কোন সমস্যা হয় তবে বিএনপি আমার এলাকায় থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার জন্য ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে ড্রাইভার আলমগীর বদর আলীসহ ৫২ জন ড্রাইভারকে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭১ এ ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা ৩ লক্ষ মা-বোনকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। খুন যদি পাপ হয় ধর্ষণ যদি পাপ হয় তবে ৭১-৭৫এ বাংলাদেশ পাপ মুক্ত হয়নি। শেখ হাসিনা এই পাপি জামায়াত, রাজাকার, আল-বদর, আল-সামস খুন ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ, লুট-পাঠ ও গণ হত্যাকারীদের বিচার শুরু করেছে আর তখনই বিএনপি জঙ্গিবাদের মদদ দিয়ে আসছে।
কিভাবে বাংলাদেশে ধর্মের নাম করে জঙ্গি হলি আর্টিজান হোটেলে ১লা জুলাই ২০১৬, ২৭শে রমজান, শব-এ-কদরের রাত যেই রাতে আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছিলো সেই পবিত্র কোরআন শরীফ নাযিলের দিনে নামায না পরে জান্নাতে যাবার আশায় যারা আমার দেশের মানুষ হত্যা করেছে বিদেশী-বাঙ্গালী-পুলিশ হত্যা করেছে তারা কোন মুসলমান আমি জানিনা, মাদারীপুরের রিপন চক্রবর্তী নামে এক প্রফেসরকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তখন মাদারীপুর বাসী জঙ্গিকে ধরে ফেলে। তাকে ধরার পরে যখন পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হলো তখন খালেদা জিয়া বলল যে, ফাহিমকে কেন হত্যা করা হলো। মায়া কান্না শুরু করলো । সুস্পষ্ট হয়ে যায় খালেদা জিয়াই জামায়াত জঙ্গিদের লালন করছে। আর তাদের কারণে বাংলাদেশ অস্থির হয়ে উঠেছিলো কিন্তু বাংলার জনগণ কত শক্তিশালী যারা এই দেশ স্বাধীন করেছিলো জীবন বাজী রেখে ১৯৭১ সালে, তারাই আজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গি সন্ত্রাস মোকাবেলা করছে। উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন বিদ্যুৎ ৭০০০ মেগা থেকে ১৫০০০ মেগাতে উন্নীত হয়েছে , পদ্ম সেতু পায়রা বন্দরের কাজ এগিয়ে চলেছে।
সবাই বলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, আমি বলি উন্নয়নে প্লাবন বইছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন কোটালিপাড়া যুবলীগ সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা , ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার , নির্বাহী অফিসার জিলাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা কমল সেন, কাজী মন্টু কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার, এডভোকেট কালাচাঁদ বল, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ কামরুল ফারুক, রাধাগঞ্জ আওয়ামীলীগ সভাপতি সর্বানন্দ বৈদ্য , সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ শিকদার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ , ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।