রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা মুন্সীগঞ্জের প্রান্তিক কৃষক এবছরও সিন্ডিকেটের কবলে পরে আলুতে লোকসান গুনছেন। গত মৌসুমে যে সকল কৃষক আলু বিক্রি করতে না পেরে হিমাগারে রেখেছিল তারা এখন প্রতি বস্তায় ২শ’ টাকা লোকসানে আলু বিক্রি করছে। গত দুই বছরের মতো এবছরও আলুর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তারা আলু আবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মুন্সীগঞ্জে চলতি আলু মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৭শ’ ৯৬ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন। পরপর দুই বছর আলুর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষক আলুর বিকল্প হিসেবে সরিষা এবং ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রধান অর্থকরি ফসল আলু। এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে আলু চাষ করে আর ফায়দা লুটে মধ্য স্বস্তভোগীরা। প্রতিবছর প্রান্তিক চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরর আলু আবাদ মৌসুমে তারা আবাদে সক্রীয় হয়ে উঠে। মহাজনদের নিকট থেকে উচ্চহারে ঋণ এবং জমির মালিকের নিকট কম মূল্যে জমিতে আলু বিক্রির শর্তে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে থাকে।
সদর উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের আব্দুল আউয়াল বেপারী বলেন, গত মৌসুমে ৯ গন্ডা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। একশ’ বস্তা আলু হিমাগারে রেখেছিলাম। প্রতি বস্তায় ২শ’ টাকা লোকসান দিয়ে আলু বিক্রি করছি। পরপর দুই বছর আলুতে লোকসান দিলাম। আর আলু চাষ করবো না। আলুর পাইকার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, এ বছর ৪৫০ বস্তা আলু বিক্রি করে ৯৮ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। প্রতি বস্তা আলুর হিমাগার পর্যন্ত যেখানে খরচ পরেছে ১০৬০ টাকা সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮১০ টাকা। গত মৌসুমে ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। গত দুই বছরে সব চালান শেষ হয়ে গেছে। পাইকারী আলু ক্রেতা মো. জহুর হোসেন মুক্তারপুর হিমাগার থেকে ৩শ’ বস্তা আলু ক্রয় করেন। প্রতি কেজি আলু ক্রয় মূল্য যেখানে সাড়ে ১৮ টাকা সেখানে এখন বাজার মূল্য মাত্র ১৮ টাকা। লোকসানের আশংকায় তিনি হিমাগার থেকে আলু বের করেননি। গত বছর ও অনেক কৃষক হিমাগারে আলু ফেলে রাখে। রামপালের ফিরোজ দেওয়ান বলেন, গত দুই বছর আলুতে লোকসান দিয়ে পুজি হারিয়ে ফেলেছি। গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রথমে লরাগানো আলু জমিতে নষ্ট হয়ে য়ায়। নতুন করে আলু চাষ করায় খরচ অনেক বেড়ে যায়। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়। পুজি না থাকায় এ বছর আর আলু চাষ করবো না। মধ্যস্বত্যভোগী আলু ব্যবসায়ীরা আলু বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারা এখন কৃষক থেকে আলু ক্রয় করছে না। হিমাগারে রাখা তাদের আলু বাজারে ছাড়ছে। খুচরা বাজার তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আলু মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলায় প্রধানত ডায়মন্ড আলু চাষ করা হয়। এজাতের আলু দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না। অতিরিক্ত রসালো হওয়ায় সহজে পঁেচ যায়। তিনি বলেন, কৃষকদের আলুর পরিবর্তে সরিষা, ভূট্টা পেয়াজ, মরিচ চাষে উৎসায়িত করা হচ্ছে। সরিষা চাষে সরকার থেকে প্রনোদনা হিসেবে কৃষকদের এক কেজি বীজ এবং দশ কেজি সার দেওয়া হবে। বিএডিসি হল্যান্ডের শান্তনা এবং কুইন এনি বীজ বিক্রি করবে। এ জাতের আলু বিদেশে রপ্তানী যোগ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।