বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : অভিবাসনকে শুধু শ্রমের চলাচল হিসেবে দেখলে হবে না এটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবম গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, অভিবাসন ক্ষেত্রে বৈশ্বিক কোনো ব্যবস্থা নেই। এখন সব দেশ একমত হয়েছে। অভিবাসন ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা দরকার। আমরা প্রথমে ধারণা করেছিলাম, এটা নিয়ে মতবিরোধ হবে, কিন্তু এখন সব দেশ একমত হয়েছে।’
ব্রেক্সিট বা ইউরোপে অভিবাসী বিতারণ করার সস্তা জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ তুলে শহীদুল হক বলেন, এই সবগুলো বিষয় অভিবাসীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিবাসনকে শুধু শ্রমের চলাচল হিসেবে দেখলে হবে না, এটাকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। অভিবাসনকে রাজনীতির হাতিয়ার বা নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখারও আহ্বান জানান সচিব।
অভিবাসন একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থার মধ্যে না এলে উচ্চ অভিবাসন খরচ বা প্রতারণা কিংবা শ্রম নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। সচিব বলেন, অভিবাসন বিষয়ে আমরা আগে দেখেছি এক দেশ আরেক দেশকে দোষারোপ করতো। কিন্তু গত ৫ দিনে কোনো দেশ অন্যকোনো দেশকে দোষারোপ করেনি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একাধিক মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং তারা কেউ বিরক্তি প্রকাশ করেননি বা আলোচনা থেকে উঠে চলে যাননি।
অভিবাসন খরচ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, আমরা একটা গ্লোবাল কমপ্যাক্ট করার চেষ্টা করছি এবং সেখানে অভিবাসন খরচ বড় আকারে আসবে।
এই কমপ্যাক্টকে বাংলাদেশ কীভাবে দেখছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাই এই বৈশ্বিক ব্যবস্থা সবার জন্য বাধ্যতামূলক হোক। এতে যদি সবাই একমত না হয়, তবে সব দেশ অংশীদারিত্ব নেবে অথবা এর কিছু অংশ বাধ্যতামূলক এবং কিছু অংশ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।