পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে গ্রুপ-১ এ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে গ্লেন ফিলিপসের উপর ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় জয় পেল কিউইরা। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফিলিপসের দারুণ সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড ৬৫ রানে হারায় লঙ্কানদের। এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে নিউজিল্যান্ড যেমন এগিয়ে গেল, ঠিক তেমনি বড় হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
এক ক্যাচ মিসেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ মিস হলো শ্রীলঙ্কার। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের সপ্তম ওভারে ক্যাচ দিয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। ১৪ বলে ১২ রানে থাকতে ফিলিপসের সেই কাচ তালুবন্দী করতে পারেননি পাথুম নিশাঙ্কা। ফল যা হবার তাই হলো। সেই একটি ক্যাচই পুরো ম্যাচ মিস করিয়ে দিলো লঙ্কানদের। গ্লেন ফিলিপস শেষ পর্যন্ত করেন ১০৪ রান। যা শ্রীলঙ্কার ইনিংসের চেয়েও ২ রান বেশি। ফিলিপসের অসাধারণ সেঞ্চুরির পর বল হাতে জ্বলে উঠেন কিউই বোলাররা। তাতেই লঙ্কান ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে সামিল হন। বোলিংয়ে ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিচেল স্যান্টনার-ইশ সোধিরা গুঁড়িয়ে দেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ।
কাল টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফিলিপসের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ১০২ রানেই অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ ফিলিপসের রানটাই করতে পারেনি লঙ্কানরা। ব্যাট করতে নেমে তারা শুরুতেই পড়ে কিউই দুই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির তোপের মুখে। লঙ্কান ইনিংসের প্রথম ওভারে পাথুম নিশাঙ্কাকে শূন্য রানে ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন সাউদি। এরপর বোল্টের জাদু। বাঁহাতি এই পেসারের বলে কুশল মেন্ডিস (৪) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (০) আউট হন। খানিক পর চারিথ আসালঙ্কাকেও (৪) প্যাভিলিয়নের পথ দেখান বোল্ট। তাতে মাত্র ৮ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এক পর্যায়ে ২৪ রানে তারা হারায় ৫ উইকেট। এরপর লঙ্কান ব্যাটিংকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ভানুকা রাজাপাকশে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৩২ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন শানাকা। আর ভানুকার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। ২২ বল খেলে ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে এই সংগ্রহ পান তিনি। বাকিদের স্কোর ছিল এক অঙ্কের ঘরে। বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন বোল্ট। তিনি চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে শিকার করে ৪ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট নেন স্যান্টনার ও সোধি। দু’জনেই খরচ করে ২১ রান করে।
এর আগে নিজেদের ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ক্রিকেটবিশ্বকে নিজের বীরত্ব দেখিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। শুরুতেই উদ্বোধনী জুটির বিদায়। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ফিন অ্যালেনকে (১) হারায় নিউজিল্যান্ড। ২.২ ওভারে দলীয় ৭ রানে ডেভন কনওয়ে (১) আউট হন। বিপদের ওই সময় সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়বেন কী, উল্টো চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৫ রানে এক চারের মারে ব্যাক্তিগত মাত্র ৮ রান করে আউট হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন! এরপরেই ক্রিজে নামেন ফিলিপস। চারে নামা ফিলিপস শুরুতে দেখেশুনে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তার ইনিংসের সঙ্গে অবদান আছে ২৪ বলে ২২ রান করা ড্যারিল মিচেলের ইনিংসটিরও। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলেন ফিলিপস। চাপের মধ্যে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ৬২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। অবশ্য ১২ রানেই বিদায় নিতে পারতেন ডানহাতি এই ব্যাটার, যদি ভানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে পাথুম নিশাঙ্কা তার সহজ ক্যাচটি তালুতে নিতে পারতেন। ফিলিপস আরেকবার বেঁচে গিয়েছিলেন দাসুন শানাকা ক্যাচ নিতে না পারায়। শেষ পর্যন্ত ফিলিপস ১০ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৬৪ বলে ১০৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার কাসুন রাজিথা। তিনি চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে পান ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন মাহিশ থিকশানা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও লাহিরু কুমারা।
আজকের খেলা
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, সকাল ৯টা
নেদারল্যান্ডস-পাকিস্তান, দুপুর ১টা
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, বিকাল ৫টা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।