Inqilab Logo

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আশানুরূপ মাছ মিলছে না জেলের জালে

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৮ হাজার ২শ’ ৩০ জন নিবন্ধিত জেলে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শুক্রবার মধ্যরাতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু করেছে। তবে আশনুরুপ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জেলেরা জানান।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে গভীর সমুদ্রে ফিশিং বোট ও ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা বেশি সাপলেজা, তুষখালী, বেতমোড়, বড়মাছুয়া, টিকিকাটা, হলতা গুলিশাখালী ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে।
এরমধ্যে সাপলেজা ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলের আছে ১ হাজার ২শ’ ৯৩ জন, তুষখালী ইউনিয়নে ১ হাজার একশত ৭৯ জন, বেতমোড়ে ৯শ’ ৮২ জন, বড়মাছুয়ায় ৯শ’ ৪২ জন, টিকিকাটা ইউনিয়নে ৬৫০ জন, হলতা গুলিশাখালীতে ৬১০ জন, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে ৫৬৯ জন এবং ধানিসাফা ইউনিয়নে আছে ৪৫২ জন। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় এলাকা এখন জেলেদের পদচারণায় মুখর।
সাপলেজা ইউনিয়নের খেতাছিড়া গ্রামের জেলে আবুল কালাম খাঁ জানান, দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা এবং ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শেষে আবার সমুদ্রে মাছ ধরতে পেরে সে আনন্দিত। তবে জালে আশানুরুপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার রাতে বলেশ^রে জাল ফেলে ৫ কেজি এবং গতকাল শনিবার সকালে জাল ফেলে মাত্র দেড় কেজি ইলিশ পেয়েছে বলে তিনি জানান।
গতকাল শনিবার দুপুরে খেতাছিড়া থেকে ট্রলার নিয়ে সাগরে যাওয়ার সময় মো. মঞ্জু খাঁ জানান, ২২ দিন ধরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এখন মাছ ধরে আয়করে কিস্তি পরিশোধের আশা নিয়ে আমরা সাগরে নামবো।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমান জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে ২২ দিনের অবোরধ শেষ হওয়ায় উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের মাঝে একটা আনন্দ ও উৎসব বিরাজ করছে। উপজেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে ৮২৩০ জন। অবোরধকালীন সময়ে কার্ডধারী জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ