রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রংপুরের পীরগঞ্জের প্রত্যন্ত পল্লীতে পাওয়ার ক্রাশার মেশিনে আখ মাড়াই করে নিয়ে নির্বিঘ্নে গুড় তৈরি করা হচ্ছে। চিনিকল বন্ধ আর মিল কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় আখ মাড়াই করা হচ্ছে নির্বিবাদে। অধিকাংশ স্থানেই ভেজাল গুড় তৈরি করা হচ্ছে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
গত শুক্রবার সরেজমিনে জানা গেছে, মৌসুমের শুরু থেকেই চাষি ও ব্যবসায়ীরা গুড় তৈরি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দু’সপ্তাহ থেকে ৮টি স্থানে নির্বিঘ্নে আখ মাড়াই ও গুড় তৈরি করা হচ্ছে। জানা গেছে, আসামি সপ্তাহ নাগাদ ওই এলাকায় অর্ধ শতাধিক স্থানে গুড় মাড়াই শুরু হবে। এলাকার কৃষকরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেক আখ চাষির অভিযোগ ফি বছর রক্ত পানি পরিশ্রমে আখ চাষ করে বিক্রি করতে গিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের কাছে নানা হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। উপরন্ত আখ বিক্রি করেও যথাসময়ে টাকা না পাওয়ায় এলাকার আখ চাষিরা মিল কর্তৃপক্ষের কাছে আখ বিক্রি করার চাইতে মাড়াই ও গুড় তৈরি করতেই বেশি আগ্রহী। এতে অনেক কৃষক আখ চাষ থেকে বিরত থাকছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে গুড় অবি প্রয়োজনীয় ও পছন্দের পণ্য। তাই অনেক চাষি শুধুমাত্র গুড় তৈরির উদ্দেশ্যেই আখ চাষ করছে। আখ চাষি খালাশপীর এলাকার সুমন, আয়নাল মিয়া, মাজেদুল, মোজাফফর বলেন, আখ চাষ বছরে একবারই হয়। গ্রামগঞ্জের মানুষ গুড় খেতে ভালোবাসেন। যে কারণে তারা গুড় তৈরির জন্য আখের চাষ করছে। এতে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রিও করতে পারেন। কোন কোন চাষি নগদ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় চাষের বা (মুড়ি) আখ আগেভাগেই গুড় তৈরির পাইকাড়ী হিসেবে কারখানার মালিকদের কাছে বিক্রি করেন। অবশ্য গুড় মাড়াই নিয়ে চাষিদের কোনো অভিযোগ নেই, বরং তারা এতে বেশি খুশি। যেসব এলাকায় গুড় উৎপাদন হয় ওই এলাকার লোকজনের অভিযোগ, উপজেলার খালাশপীর এলাকার কাফ্রিখাল, তেলিপাড়া, তাতারপুর, বাবনপুর, মাগুরা, উল্লাগাড়ি, বড় ফলিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় অর্ধ শতাধিক গুড় মাড়াই করা হয় প্রতি বছর। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ কারখানাতেই ভেজাল গুড় তৈরি করছে ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে আখের রসের সাথে চিনি, রং এবং ময়দা মিশিয়ে বাড়তি গুড় তৈরি করা হচ্ছে। এতে নাকি উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়। গুড় তৈরির কারখানার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নগদ টাকা দিয়ে কৃষকের কাছে জমি থেকে আখ কিনছেন। সেই আখ দিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া গত বছর থেকে রংপুর চিনিকল বন্ধ থাকায় আথ ক্রয় অনেক সহজলভ্য হয়েছে। গুড় তৈরিতে মিল কর্তৃপক্ষের কোন বাধা বিপত্তি নেই। চাষিরা আখের আবাদ করে গুড় খেতে পারছেন আবার আবার আগেভাগে জমি থেকে নগদ টাকায় উৎপাদিত আখ বিক্রি করে অন্য ফসল চাষের সুযোগও পাচ্ছেন। গুড় মাড়াই পয়েন্টগুলোর আশপাশের লোকজন বলছেন, অনেক গুড় ব্যবসায়ী চিনি, রং এবং ময়দা মিশেয়ে গুড় তৈরি করছেন।
উপজেলার হাটবাজারগুলোতে তাই ভেজাল গুড়ে সয়লাব। যে কারণে ভালো মানের গুড় পাওয়া দুস্কর। তাই তারা গুড়ের মান সঠিক রাখতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। বিশেষ করে গুড় তৈরির এলাকাগুলোতে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার দাবি সাধারণ মানুষের।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায় বলেন, গুড় মাড়াই এলাকায় খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং এসব কারখানায় দ্রুত অভিযান চালানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।