Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতে সাগরে যাচ্ছে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের হাতিয়ার জেলেরা

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৪:৫৮ পিএম

নোয়াখালীর জেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। এখানে অর্ধ লক্ষাধিক জেলের বসবাস, যাদের জীবিকা একমাত্র মৎস শিকার। চলতি মৌসুমে ইলিশের আকালের পর গত ৬ অক্টোবর থেকে ইলিশের প্রজননের জন্য সরকারি ভাবে আসে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এসময় সাগরে ইলিশ আহরণ, ক্রয় বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ ছিলো। ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মুহুর্তের সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হাতিয়ার জেলেরা, এতে জেলে পরিবারগুলোতে বইছে খুশির বন্যা।

জানা গেছে, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের বংশ বৃদ্ধিতে সহায়তার লক্ষে সরকার ঘোষণা অনুযায়ি গত ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে জেলার হাতিয়ায় শুরু হয় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ওইদিন থেকে ঘাটে ফিরতে শুরু করে জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সময় দ্বীপের লক্ষাধিক জেলের মধ্যে কার্ডধারী প্রায় ১১হাজার ১শত জেলেকে দেওয়া হয় সরকারি সহযোগিতা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে সাগরে মাছ শিকারে যায়নি জেলেরা, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা মেনেও বেশির ভাগ জেলেই সহযোগিতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে।

জেলেরা জানান, সবকিছু ভুলে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার পর আজ মধ্য রাত থেকে তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ ধরা পড়বে এমনটাই আশা করছে সবাই। ভালো মাছ ফেলে চলতি মৌসুমে মাছের যে আকাল গিয়েছে তার অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারবে। এ মৌসুমের শেষ সময়টা ভালো মাছ পেয়ে ধার-দেনা শোধ করার স্বপ্নও দেখছে জেলেরা। জেলেদের দাবী আগামীতে নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সময় সরকার থেকে দেওয়া সহযোগিতা যেন সঠিক বন্টন হয় সে বিষয়ে তদারকি করার জোর দাবি তাদের। একইসাথে মূল জেলেদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও অন্য পেশার লোকদের সহায়তার কার্ড দিওয়ার বিষয়টির ক্ষোভ জানিয়ে মূল জেলেদের কার্ডের আওতায় আনার জোর দাবিও করেন তারা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন কার্ড নিয়ে জেলেদের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যারা মাছ ধরার সথে জড়িত না তাদের কাউকে সহায়তার কার্ড দেওয়া হয়নি। এমন কেউ থেকে থাকলে প্রমাণ ফেলে তাদের কার্ড বাতিল করা হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আগামিতে আরও অনেক জেলেকে নিবন্ধনের আওতায় এনে সহযোগিতা করার আশ^াস দিয়েছেন এ মৎস্য কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ