বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যার ২ বছর পর হত্যা কান্ডে জড়িতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর নান্দন কড্ডা এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ ওই ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করে বাসন থানা-পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই দেহাবশেষ জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার পলাশতলা গ্রামের মো. মিনারুলের। ৪১ বছর বয়সী মিনারুল পরিবার নিয়ে কোনাবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শনিবার ২ হাজার ৭০০ ইয়াবাসহ ৯টি মাদক মামলার আসামি মো. আলমকে গ্রেপ্তার করে বাসন থানা-পুলিশ। পরে রিমান্ডে এনে তাকে সহযোগীদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
একপর্যায়ে আলম জানান, ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে নান্দন কড্ডা এলাকার হালিমের বাড়িতে মাদক ব্যবসার ভাগ-বাঁটোয়ারা ও একটি হত্যা মামলা (মিনারুলের বড় ভাই মিজান হত্যা) তুলে নিতে চাপ দিলে মিনারুলের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে আলমসহ ৪-৫ জন লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে মিনারুলকে হত্যা করেন। পরে ওই বাড়ির সামনেই একটি খালি জায়গায় তার মরদেহ মাটিচাপা দেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মিনারুল। রেজওয়ান আহমেদ আরও জানান, মিনারুল নিখোঁজের ১০ দিন পর তার স্ত্রী মৌসুমী কোনাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মিনারুলকে হত্যা ও মাটিচাপা দেয়ার কথা স্বীকার করেন আলম। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার বিকেলে মাটি খুঁড়ে মিনারুলের দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ।
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান জানান, নিখোঁজ মিনারুল নিজেও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় ৬-৭টি মামলা রয়েছে। দেহাবশেষ উদ্ধারের পর ডিএনএ টেস্টের জন্য সিআইডিতে পাঠানোর হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আলম ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।