Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে জোয়ারের শঙ্কা নিয়ে ঘরে ফিরছে উপকূলের বাসিন্দারা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ১১:১১ এএম

রাতভর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবের পর জোয়ারের শঙ্কা নিয়ে ঘরে ফিরছে চট্টগ্রামের উপকূলের বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড়ে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা এবং জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। ঝড়ে গাছ পালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফল ফসলের। মহানগরীর পতেঙ্গা হালিশহর এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ১৯৯১ সালের পর এমন জলোচ্ছ্বাস আর হয়নি। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেখানো ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কাটলেও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো জোয়ার কিংবা জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায়।
ঝড়ো হাওয়ায় নগর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে। অনেকের কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। রাতে জোয়ারের পানি ঘরে ঢুকেছে নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘরে। পতেঙ্গা, খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আছাদগঞ্জ, পাথরঘাটা, কাট্টলী, বাকলিয়া, ফিরিঙ্গিবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নিম্নাঞ্চলের কিছু সড়কেও পানি উঠে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝলমলে চট্টগ্রামের আকাশ। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার রাত শেষে কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে নগরে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় সড়কে মানুষ ও যানবাহনের আনাগোনা কম। কর্মস্থলমুখী মানুষেরই দেখা মিলছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও কিছু মানুষ ঘরে ফিরেছেন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে সমুদ্রবন্দরগুলোকে। কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার এসেছে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে, যা চলবে ১২টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। আবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে জোয়ার আসবে। জোয়ারের উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটারের বেশি হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ