Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিত্রাং ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শেডের ক্ষয়ক্ষতি

ভূমিধ্বসের ব্যাপারে অবলম্বন করা হয়েছে সতর্কতা

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৪০ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' এর প্রভাবে সকাল থেকে হালকা ধমকা হাওয়া প্রবাহিত হলেও বিকালের পর থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ধেয়ে আসায় ক্যাম্পগুলোতে বসবাসকারীদের সর্তক থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্যাম্পে সাড়ে তিন হাজার ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা যায়।

প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয়ে সার্বিক বিষয়ে একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, এপিবিএন ও আইএনজিওসহ সকল সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরআরআরসি কার্যালয় জানায়, 'ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ক্যাম্পের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে ক্যাম্পে সেনাবাহিনী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রেডক্রস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দমকল বাহিনী বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মী বাহিনীসহ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পে মাইকিং করে সবাইকে সর্তক থাকতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যেক ক্যাম্পে সিআইসির নেতৃত্বে একটি করে দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি করা হয়েছে।’

দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্যাম্পে সাড়ে তিন হাজার ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ‘মূলত আমরা ভয়ে আছি, ভারী বৃষ্টিপাত হলে ক্যাম্পে ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ক্যাম্পে অতি ঝুঁকিপূর্ণদের চিহ্নিত করে কাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নোয়াখালী ভাসানচর ও কক্সবাজারের শিবিরে কিছু ঘরবাড়ির টিন-চাল উড়ে গেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। সাথে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোহিঙ্গাদের কাঁচা শেডগুলো যাতে উড়ে গিয়ে প্রানহানীর মত ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারেও আমরা সতর্ক রয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি'।

আরআরআরসি আরো বলেন, ‘সব রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কমিটি করা হয়েছে। মাইকিং করে লোকজনকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি ক্যাম্পের দুর্বল ঘরগুলো বাঁশ ও রশি দিয়ে মজবুত করতে বলা হয়েছে।’

,'ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ক্যাম্পের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে ক্যাম্পে সেনাবাহিনী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রেডক্রস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দমকল বাহিনী বিভিন্ন দাতা সংস্থার কর্মী বাহিনীসহ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবীও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পে মাইকিং করে সবাইকে সর্তক থাকতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যেক ক্যাম্পে সিআইসির নেতৃত্বে একটি করে দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটি করা হয়েছে।’-আরআরআরসি কার্যালয় আরো যোগ করেন।

উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোঃ জসিম বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত আনতে পারে এমন আশঙ্কার খবর ক্যাম্পে প্রচার করা হচ্ছে এবং সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে লোকজন নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে'।

এ বিষয়ে ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, ‘ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। পাশাপাশি সকাল থেকে সকল ক্যাম্পে মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের সর্তক থাকতে বলা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন সজীব বলেন, ‘উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের স্থানীয়দের পাশাপাশি, উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবাইকে সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভূমিধ্বস প্রবণ এলাকা থেকে লোকগুলোকে নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ