Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাত বাড়ার সাথে বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ, আশ্রয় কেন্দ্রে গুলি ভরে যাচ্ছে লোকজনে

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৪৫ পিএম

রাত বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে একদিকে যেরকম বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ,তেমনি ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার কবল থেকে রক্ষা পেতে লোকজন ভীড় করছেন আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,গতকাল ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আজ ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে গত মধ্যরাত ১২ টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৮ ঘন্টায়ই ২৪৯.৫ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।এ দিকে সন্ধ্যার পর থেকে হটাৎ বৃষ্টি বন্ধ হয়ে বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: রাহাত হোসেন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত নয়টায় জানান বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে।

এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে হটাৎ করে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়া লোকজনের মধ্যে আতংক বৃদ্ধি পেয়েছে। বয়স্ক লোকজনের অভিমত ঘূর্নিঝড় সিডরের সময় একই অবস্থা ছিল আবহাওয়ার ,সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মধ্যরাতে তা ভয়াবহ রুপ ধারন করে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সিপিপির সদস্য নীলা আক্তার জানন, তাদের টিম লিডার মো: জাহিদুল ইসলাম রিপনের নেতৃত্বে এ সত্তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বয়স্ক শিশু মহিলাদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছেন।তিনি জানান রাত বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজনের ভীড় বাড়ছে এবংইতোমধ্যে আশ্রিতদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মাশফাকুর রহমান রাত নয়টায় জানান, ইতোমধ্যে তিনি অনেকগুলি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুড়ে এসেছেন।উপজেলার ৭৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ সহরাধিক দূর্গত লোক আশ্রয় গ্রহন করেছেন,আরো লোকজন আসছেন।আশ্রিতদের মধ্যে খাবার বিতরন করা হয়েছে,প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে সুপেয় খাবার পানিসহ পুরুষ ,মহিলাদের পৃথকভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেল্টার, ২৬টি মুজিব কিল্লা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ওষুধ ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলায় উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে জেলা ত্রাণ পূনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জেলার ৮ উপজেলায় নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২৫ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এদিকে এ রিপোর্ট রাত ৯ টায় লেখা পর্যন্ত জেলার ৮টি উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে ৫৮,৬৭৪ জন আশ্রয় গ্রহন করেছেন বলে জেলা ত্রাণ পূনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ নিশ্চিত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ