Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে ঝুঁকিতে পাঁচ লাখ মানুষ, আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে এক লাখ

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৫৪ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র আঘাতের ঝুঁকির মুখে থাকা মহেশখালীসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন নিচু এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন। দুপুরে মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারির পর ঝুুঁকিপুর্ণ অবস্থানে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।

জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ অন্তত এক লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তাদের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লোকজনকে ইতিমধ্যে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

মহেখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াছিন জানিয়েছেন, উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও কুতুবজোমসহ মহেশখালীতে অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। দুপুরের পর থেকে তাদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, কুতুবদিয়া ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে সাত থেকে আট হাজার মানুষ। তাদের সরিয়ে নিতে কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। বিকাল ৪টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লোক আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ সব লোকজনকে সরিয়ে আনার কথার জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

সেন্টমার্টিন ইউপি মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনে পুরো ইউনিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে অতি ঝুঁকিতে লোকজনকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে সকল সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। প্রতিটি উপজেলায় খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম। ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে পাঁচ লক্ষাধিক লোকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া ১০ লাখ টাকা, ২৯৮ মেট্টিক টন চাল, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ১৮০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬০০ স্বেচ্ছাসেবক, ১০৮ টি মেডিকেল টিম, সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদ ইকবাল বলেন, কক্সবাজারের আট উপজেলায় পাঁচ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিতে রয়েছে এক লাখ। তাদের সন্ধ্যার আগেই সরিয়ে নিতে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ