রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বগুড়ার আদমদীঘিতে একটু বৃষ্টি হলেই ছোট আখিড়া-ইন্দইল পাকা সড়কে বৃষ্টির পানি জমে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গত কয়েক মাস ধরে এই সড়কে পানিবদ্ধতা অবস্থায় রয়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে সর্বসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এলাকাবাসি এ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার করে পানিবদ্ধতার নিরশনের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের ছোট আখিড়া-ইন্দইল এ সড়ক পথ দিয়ে সাগরপুর, কাল্লাগাড়ি, কালাইকুড়ী, আমুইল, কৈকুরী, কোমারপুর, চকসাবাজ, দাড়িকুড়ি, শালগ্রামসহ প্রায় ১০-১২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এ কারণে উল্লিখিত গ্রামের মানুষের কাছে এটি প্রধান সড়ক হয়ে দাড়িয়েছে। পানিবদ্ধতা আর খানাখন্দকে এ সড়কে এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে এবং পানি নিস্কাশনের কোন পথ না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে দিনের পর দিন সড়কে পানি জমে থাকার কারণে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে সর্বসাধরণকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এরপরও প্রায় ১০-১২টি গ্রামবাসী নিরুপায় হয়ে প্রতিনিয়ত ওই পানির পথে যাতায়াত করছে। এলাকাবাসি এ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার করে পানিবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
ছোট আখিড়া গ্রামের শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, এই সড়কটির দূর-অবস্থার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন দুই বার এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। পানিবদ্ধতার কারণে যাতায়াতে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। কয়েকদিন আগে একজন চার্জারভ্যানে যেতে ঝাঁকুনিতে পড়ে চালের দুটি বস্তা ফেটে পানিতে পড়ে নষ্ট হয়। পানিতে ডুবে থাকায় সড়কে ছোট-বড় গর্ত বোঝা যায় না। এতে করে আমাদের অনেক ঝুঁকি রয়েছে। সড়কের পাশে বিসমিল্লাহ চাউল কলের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা বলেন, পানিবদ্ধতার জন্য শুধু সড়ক নয় চাতালের উঠানেও পানি জমে যায়। দুই মাস ধরে চাতালের কাজ বন্ধ রয়েছে। উঠান না শুকানো পর্যন্ত ধান চালের কাজ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু বলেন, ওখানে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে আছে। এতে জনসাধারণের খুব ভোগান্তি হচ্ছে। সড়কের ধার দিয়ে যদি ড্রেন নির্মাণ করা যায় তাহলে পানি জমবেনা। পরিষদের অল্প টাকা দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা সম্ভব নয়। সওজ বা এলজিইডির সহযোগিতা করলে একটি স্থায়ী ড্রেন নির্মাণ করা হলে বর্ষা মৌসুমে জনসাধারনকে আর ভোগান্তিতে পরতে হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।