Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘অশনি’র পরে আরেক গভীর নিম্নচাপ দক্ষিণ উপকূলে এগুচ্ছে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ৬:১৬ পিএম

গত মে মাসের ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র পরে বঙ্গোপসাগর থেকে আরেক গভীর নিম্নচাপ দক্ষিণ উপকূলভাগে এগুচ্ছে। তবে এখনো ঝড়টির তীব্রতা ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় বড় বিপর্যয়ের আশংকা না থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের মাঠে থাকা প্রায় ৭ লাখ হেক্টর আমন ধান নিয়ে শঙ্কিত কৃষি যোদ্ধাগন। রোববার সকাল থেকেই উপকূল সহ দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে মেঘলা আকাশে সূর্য আড়ালেই রয়েছে। বরিশাল সহ গোটা উপক’ল জুড়ে হালকা বৃষ্টি হলেও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ নটের নিচেই ছিল। বরিশালে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টি হলেও সাগর পাড়ের খেপুপাড়াতে ৩ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে বায়ু তাড়িত মেঘমালার কারণে উপকূলীয় এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের কথাও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় আনার পাশাপাশি বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরগুলোকেও ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথগুলোতে অনধিক ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের সব যাত্রীবাহী নৌযানের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপক’লে মাঝারী মাত্রায় এবং গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর যথেষ্ট উত্তাল রয়েছে।

ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক’লের নদ-নদী স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ফুট উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হবার আশংকার কথাও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারসমুহকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে বলা হয়েছে। তবে ২২ দিনের ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগর উপক’ল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকায়ই মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলে পল্লী গুলোতে অনেকটাই নীরবতার সাথে নৌকা ও ট্রলার নিরাপদে মৎস্য বন্দরেই রয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগের মতে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভ’ত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে উত্তরদিকে অগ্রসরের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তা ভারত-বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে বরিশাল বিভাগের উপক’লীয় এলাকার আঘাত হানারও সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষকগন।

চলতি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চল থেকে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টন আমন চাল পাবার লক্ষ্য স্থির করে রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কিন্তু মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাতের অভাবের সাথে কয়েক দফায় ফুসে ওঠা সাগরের প্লাবন সহ অতি বর্ষণে আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪% ঘাটতি ছিল। এখন আবার গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ফসলের ক্ষতি কোন পর্যায়ে যায়, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় কৃষকগন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ