বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বহুতল ভবনের লিফটে উঠে আটকা পড়েন আদালতের পিপি, আইনজীবীসহ ১০ জন। আদালতের টেকনিশিয়ানরা অনেক চেষ্টা করেও লিফট ঠিক করতে ব্যর্থ হলে পরে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল তাদের উদ্ধার করে। রোববার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিফটে আটকে পড়া কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জানে আলম বলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের লিফট চলন্ত অবস্থায় বিকল হয়ে পিপি, আইনজীবীসহ ১০ জন আটকা পড়েন। ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আমাদের কল দিয়ে জানানো হয়। আমাদের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আইনজীবী বলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বহুতল ভবনের লিফটে বহুদিন ধরেই সমস্যা দেখা দেয়। এর আগে কয়েকবার লিফট নষ্ট হয়েছিল। প্রতিবার যেনতেনভাবে মেরামত করা হয়। আজকে আবারও লিফটে সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই লিফটের মধ্যে আটকা পড়েছিল। আজ একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে দেখা হোক এবং লিফটের বহুদিনের সমস্যা সমাধান করা হোক। আদালত কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত লিফট রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
লিফটম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা লিফট আটকা ছিল। লিফট আটকে গেলে তা সমাধানের অনেক চেষ্টা করলেও আমরা সচল করতে পারিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে লিফট ভেঙে আটকা পড়া সবাইকে উদ্ধার করেন।
কুষ্টিয়া আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বলেন, বেলা ১১টার দিকে লিফটে করে উপরে উঠছিলাম। এসময় প্রথম তলা ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় লিফট বিকল হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৪২ মিনিট আমরা লিফটের মধ্যে আটকে ছিলাম। এসময় আদালতের টেকনিশিয়ানরা চেষ্টা করে লিফট সচল করতে ব্যর্থ হয়। পরে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অফিসে কল দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দল এসে লিফট ভেঙে আমাদের উদ্ধার করে। লিফটে আটকে থাকার সময়টি খুবই আতঙ্কে কেটেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।