বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্রসহ ছিনতাইকারী চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
ভিকটিম সুজনের তথ্যের ভিত্তিতেই র্যাবের পাতানো জালে আটকা পড়ে ওই ১৩ ছিনতাইকারী। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা প্রচুর মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করেছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এরা শুধু ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত নয়, বরং মলম পার্টি ও অপহরণের কাজেও জড়িত রয়েছে। এদের পাকড়াও করার সময় উদ্ধার করা হয়, বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোনসহ ল্যাপটপ, ট্যাব ও দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলি।
গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, আনসার (৩৮), আলমগীর (৩৫), উজ্জল (২৫), রমজান (২৮), ছাইদুল (৩৫), ওসমান (২৫), মো ছগির (২৭), শেখ মো. জাহিদ (২২), আব্দুল খালেক (৪২), জহুরুল মিয়া (২১), সাগর মিয়া শওকত (৩৫), মো. হাসান (২৮) ও মো. আলিম (৩৫)।
মুফতি মাহমুদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে সুজন নামে এক যুবকের মোবাইল ফোন, ট্যাব ও নগদ ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন ছিনতাইকারী। পরে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ভদ্রলোক তাকে বলেন, ওদের একজনকে তিনি চেনেন, কিছু টাকা দিলে তার মালামাল উদ্ধার করে দিতে পারবেন। সুজন ওই লোকের কথামতো ১৫ হাজার টাকা চুক্তি করে। পরে টাকা দিলেও মালামাল না দিলে সুজন র্যাব-২ এর কাছে অভিযোগ দেয়। অভিযোগ দেওয়ার সময় সুজন বেশ কিছু তথ্য জানায় র্যাবকে।
র্যাব সেই তথ্যের ভিত্তিতেই মাঠে নামে এসব ছিনতাইকারীদের ধরতে। ১০ ডিসেম্বর রাতেই র্যাব আলিম, আনসার, হাসান ও ছগিরকে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে, রোববার ভোরের দিকে আরো ৯ জনকে আটক করা হয়।
মুফতি মাহমুদ বলেন, ছিনতাইকারী কোনো চক্রের কাছ থেকে এর আগে এতোবেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়নি। এবারই প্রথম এতো বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এই চক্রটি শুধুমাত্র ছিনতাই করে না। এরা সিএনজি ও মাইক্রোবাসে কৌশলে যাত্রীদের তুলে পরে তাদের আটকে রেখে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ও করেছে। এমনকি অনেককে গুলি করে মেরেও ফেলেছে। এই চক্রের হাতে কারা নিহত হয়েছে তা মামলার পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে। বর্তমানে ছিনতাইকারীরা নিজের জীবন বাঁচাতে আগ্নেয়াস্ত্র পর্যন্ত ব্যবহার করছে। র্যাবের তদন্ত অব্যাহত আছে। এদের আরো যারা সদস্য ধরা পড়েনি তদন্তের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান মুফতি মাহমুদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।