Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেতু আছে সড়ক নেই

দুর্ভোগে ক্ষুব্ধ মেলান্দহবাসী

নুরুল আলম সিদ্দিকী, জামালপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা সদরের সাথে মাহমুদপুর ইউনিয়নের হাজারো জনগণের যোগাযোগ সহজতর করতে বন্ধ রৌহা গ্রামের কাটাখালী নদীর ওপর ৯০ মিটার একটি সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে সেতুর দুই পাশে কোনো সড়ক না থাকায় দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনার। প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতুটি স্থানীয় জনগনের কোনো কাজে আসছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, এক বছর নির্মাণ কাজ চলার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে সম্পন্ন হয় সেতুটি। তবে দীর্ঘ ৯ মাসেও দুই পাশে কোনো সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি কাজে আসছে না স্থানীয় জনগণের। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে জমির ফসল আনতে হয় স্থানীয়দের। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। সেতুর দুই পাশে সড়ক নির্মাণ হলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সেতুটি।
বন্ধরৌহা গ্রামের মো. মাহবুবুর হোসেন বলেন, ‘এক বছরে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়ছে। সম্পূর্ণ হওয়ার পরে এহনতো সেতুর রাস্তা ঘাট নাই। এহন সরকার যদি রাস্তা ঘাট দেয়,তাহলে সেতুটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো।’ সেতুর অপর পাশের মাহমুদপুর ইউনিয়নের পুঠিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মো. খোকন বলেন- ‘বন্দের ফসল নিয়ে আসা আঙ্গর জন্য খুব কষ্ট হয়। তিন চার কিলোমিটার ঘুইরে আওন লাগে। আঙ্গরে মেলা কষ্ট। এই কষ্টে আর কতদিন থাকমু।’
একই গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন- ‘আঙ্গর বন্দের ফসল নিয়ে আইতে হইলে পাঁচ কিলোমিটার ঘুইরে ফসল আনা লাগে। আমাদের গ্রামে পাঁচ হাজার লোকের সমাবেশ। আমরা সেতু পাইছি রাস্তা পাইনেই। আঙ্গর মাটির দরকার, রাস্তার দরকার।’
বন্ধরৌহা গ্রামের ওমর ফারুক বলেন- ‘সেতু হয়ছে। এহন রাস্তা দরকার। আঙ্গরে চলা ফেরা করা দরকার। এলাকার উন্নয়ন হবো। রাস্তা হইলে সব দিক দিয়েই ভালা। আবাদ মৌসুম, ঘোরাফেরা। সব দিক দিয়েই সুবিধা হবো।’
এদিকে সড়ক ছাড়াই সেতু নির্মাণ করায় ক্ষুব্ধ উপজেলাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতির। দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সড়ক নির্মাণ করা হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
পুঠিয়ারা গ্রামের মো. মিনহাজ বলেন- ‘সেতু করছে ঠিক আছে। কিন্তু রাস্তা ছাড়া যে সেতুটা করছে এডে বোকামি করছে। সেতু করছে এহন আমরা বর্তমানে রাস্তা চাই। রাস্তার জন্যে এপার থেকে ওপারে যাইতে পারি না।’
বন্ধরৌহা গ্রামের ষাটোর্ধ জহুরুল ইসলাম বলেন- ‘জানি যে আগে রাস্তা হয়, তারপরে সেতু হয়। এহন সেতু হইছে রাস্তা নাই। মানুষের চলাফেরা অসুবিধা। রাস্তা যদি না হয়। তাইলে কোটি টাকার জিনিস নষ্ট হয়ে যাবো।’
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, মেলান্দহ উপজেলা বন্ধ রৌহা নামক স্থানে ৯০ মিটার সেতুর মুল স্ট্রাকচারের কাজটি কমপ্লিট করেছি। এপ্রোচ রোডের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় কিছুটা সময় ব্যায় হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত গতিতে এপ্রোচের কাজটি কমপ্লিট করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ