Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুরাদনগরে স্কুল মাঠের মাটি নিয়ে গেছে ঠিকাদার

মনির হোসাইন, মুরাদনগর (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভিটিপাঁচপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠকে পুকুরে পরিনত করে মাটি কেটে নিয়ে গেছে ঠিকাদার। ফলে গর্তে পরে যাওয়ার আতঙ্কে আছে ওই বিদ্যালয়ের ২০৭ জন শিশু শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসলেও খেলাধুলা করতে মাঠে নামতে পারছেনা কেউ। তবে ৮ মাস আগে নবনির্মিত ভবনের অজুহাতে মাঠের মাটি কেটে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অলৌকিক কারণে লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় অভিবাবকদের মাঝে।
ভিটিপাঁচপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহার বলেন, ২০২০ সালে বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়। গত ৮ মাস আগে সেই ভবনে মাটি লাগবে এমন অজুহাতে করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় মাঠের মাটি কেটে নিয়ে যায় ঠিকাদার। বিদ্যালয় খোলার পর বিষয়টি রেজুলেশন আকারে আনা হয়েছে। তখন ঠিকাদার বলেছিলেন বিদ্যালয় খোলা মাত্রই তিনি মাটি ভরাট করে দিবেন। কিন্তু বিদ্যালয় খোলার দীর্ঘদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত মাটি ভরাট করেনি সে। এ বিষয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কে জানিয়েছি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্টর মিজান এর কাছে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, এটি এমন কোন গর্ত নয়। প্রয়োজনে মাটি কেটে নিয়েছিলাম, কিছুদিনের মধ্যেই আবার ভরাট করে দিব। গর্তের ফলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নিবে? জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমার সাথে আপনি দেখা করিয়েন।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের যোগসাজশেই এটি হয়েছে। স্কুলটির একমাত্র খেলার মাঠটি ৬ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে গেল ঠিকাদার অথচ এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। এই গর্তের ফলে এখন অভিভাবকরা বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয় এর আশপাশের বাড়িঘরের মানুষেরাও তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের কে নিয়ে সব সময় একটা আতঙ্কে থাকতে হয়। এই গর্ত দ্রুত ভরাট না করলে যেকোনো সময়ে এখানে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা তখন এর দায়ভার কে নিবে?
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কয়েকবার মৌখিক আলোচনা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত ভাবে জানায়নি। ঠিকাদারের সাথে কথা বলে খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফোওজিয়া আকতার বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানানোর পর আমি যতবার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি তারা ততবারই খুব দ্রুত ভরাট করে দেবে বলেছেন। পরে বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হলে ভরাট করে দেয়ার বিষয়ে একইভাবে আশ্বস্ত করেন উপজেলা প্রকৌশলী। যেহেতু মৌখিকভাবে সহযোগিতা চেয়েও কানো ভালো ফলাফল পাইনি। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ