রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গৃহবধূ আনোয়ারা বেগমকে হত্যা করেছে তার প্রাক্তন স্বামী পলাশ মিয়া (৩০)। পলাশকে তালাক দিয়ে আনোয়ারা দ্বিতীয় বিয়ে করে। এতে ক্ষুব্দ হয়ে পলাশ তাকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে মির্জাপুর থানার ওসি শেখ আবু সালহ মাসুদ করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ১২ অক্টোবর মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে ভাড়া বাড়ি থেকে গৃহবধূর আনোয়ারার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আনোয়ারার গত ৫ মাস আগে পলাশকে তালাক দিয়ে গত ১৬ জুলাই ঘাটাইল উপজেলার মুরাইদ গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোয়াজ মিয়াকে বিয়ে করেন। নতুন স্বামী ও তার ৮ বছরের ছেলে আসিককে নিয়ে আনোয়ারা বেগম বেলতৈল গ্রামের ওই বাড়িতে বাস করতেন। এদিকে ভাড়া ওই বাড়িতে মাঝে মধ্যে আনোয়ারা প্রাক্তন স্বামী পলাশ মিয়াও যাতায়াত করতেন। গত ১১ অক্টোবর রাতের খাবার খেয়ে আনোয়ারা তার শিশু পুত্র আসিককে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ১২ অক্টোর সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই ঘরের ভেতর শিশু আসিকের কান্না শুনে বাড়ির মালিক সাহিদ মিয়া দরজা খুলে আনোয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় ১২ অক্টোবর আনোয়ার ভাই আবুল হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ অক্টোবর বেলতৈল গ্রাম থেকে আনোয়ারা প্রাক্তন স্বামী পলাশ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে একদিনের রিমান্ড আনে পুলিশ। রিমান্ড শেষে ১৮ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল আলমের আদালতে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তাকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্ত্রী আনোয়ারার উপর ক্ষুব্দ হন এবং হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মাফিক গত ১৬ অক্টোবার রাতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তিতে পলাশ জানিয়েছেন বলে ওসি শেখ আবু সালে মাসুদ করিম জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।