রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
উজানের পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা, ঝিনাই ও সুবর্ণখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ বন্যায় উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের ১০ গ্রামে তলিয়ে গেছে কৃষকের কয়েক শত হেক্টর জমির ফসল। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কয়েক হাজার কৃষক। দিশেহারা এসব কৃষককে সহায়তা আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি অফিস ও সরজমিন ঘুরে জানা যায়, উজানের পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর বাহাদুরবাদ পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, আওনা, পোগলদিঘা, সাতপোয়া, কামরাবাদ ও ভাটারা ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রামের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলোর জমির ফসল,বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গত এক সপ্তাহে এসব এলাকার ৭২১ হেক্টর রোপা আমন, ১৫০ হেক্টর ভুট্টা, ১০০ হেক্টর মাসকলাই, ৫০ হেক্টর পিঁয়াচ, ৫০ হেক্টর মিষ্টি আলু, ২০ বাদাম, হেক্টর ও ৭৫ হেক্টর শাকসবজির খেতে পানি উঠায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আকস্মিক এ বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কয়েক হাজার কৃষক। ক্ষতির মুখে পড়লেও এখনো খোঁজ নেয়নি কৃষি অফিস বা প্রশাসন এমনটাই দাবি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের। উপজেলার নগদা গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর মিয়া, জুলহাস ও রাবেয়া বেগম জানান, অসময়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এমনটা কখনো দেখেনি তারা। বন্যায় আমন ধান, মরিচ, ভুট্টা, মাসকলাই, বিভিন্ন শাকসবজির জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকের এই ক্ষতি অপূরণীয়। উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের কৃষক খলিল আকন্দ জানান, বেশি লাভের আশায় দুই বিঘা জমিতে মরিচ আবাদ করেন। এতে ৫০/৬০ হাজার টাকা খরচ হয় তার। আকস্মিক নদীর পানি বৃদ্ধি হয়ে ফসলের ক্ষেতে পানি উঠায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ওই কৃষক। এছাড়া শিশুয়া, মালিপাড়া চর সরিষাবাড়ী এলাকার কৃষক সেজনু মিয়া, আকবর আলী, মনির উদ্দিনসহ আরো অনেকেই বলেন, ঋণ-ধার করে জমিতে রোপা আমন,ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন ও শাকসবজি আবাদ করেন তারা। অসময়ে বন্যায় জমির ফসল নষ্ট করে দিলো। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে সর্বশান্ত হওয়ার পথে তারা। কেউ খোঁজ নিতেও আসে নাই তাদের। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা দাবি তাদের। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,আকস্মিক এই বন্যায় কৃষকের বিভিন্ন ফসল পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।