রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা জাল, নৌকা ঘাটে রেখে অলস সময় কাটাচ্ছে। উপজেলা মৎস্যবিভাগের তথ্যমতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সময়ে আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।
সরেজমিনে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার যে পরিমান চাল বরাদ্দ দিয়েছে তা ঠিকমতো তাদের কাছে পৌঁছায় না। তাই অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন জেলেরা। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষা ভবানীপর ও সৈয়দপুর ইউনিয়ন। এই দু’টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার জেলে মেঘনায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভবানীপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসবাস করছেন কয়েকশ’ জেলে পরিবার। ঝুপড়ি ঘরে তাদের বসবাস। নদীতে মাছ ধরে চলে তাদের জীবন। মাছ ধরতে না পারলে সংসার চলে না। জেলেপাড়ার সুমন মাঝি জানান, নদীতে অভিযান চলছে। এখন কাজকর্ম নেই। অন্য কাজও জানি না। তাই অনেক কষ্টে আছি। সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের জেলে মো. হোসেন। বয়স ২৭। তার ওপর বাবা-মা, ভাইবোনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব। একদিন আয় করতে না পারলে উপোষ থাকতে হয় পরিবারের সবাইকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে তার নৌকা ঘাটে বাঁধা। এখন অটোরিকশা চালাচ্ছেন। হোসেন বলেন, ২২ দিন নদীতে মা ইলিশের অভিযান। মাছ না ধরলে একদিনও সংসার চলেনা। সরকার চাল দেয়, তাও ঠিক মতো পাই না। কি করবো? রিকশা চালিয়ে যা পাই, চাল-ডাল কিনে কোনোমতে চলি। চরখলিফা ৭নং ওর্য়াডের জেলে বাবুল বলেন, আমাগো চাল বেকে (সবাই) খায়। সরকার সাগরে অভিযান দিছে। এহন ট্রলারের জাল বুনি। মালিক অল্প কিছু টিয়া দেয়। কোনো মতে দিন চলে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন ইনকিলাবকে বলেন, দৌলতখান উপজেলায় ২২ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২০ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ইলিশের অবাধ প্রজনের লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতা সভা করা হয়েছে। প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে মৎস্যবিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।