Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনাগামী বাস আটকে দেওয়া হচ্ছে যশোরে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৩২ পিএম

যশোর থেকে খুলনা রুটে চলছে না কোনো গণপরিবহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে যশোর-খুলনা রুটে কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না খুলনার পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

যশোরের পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, যশোর থেকে খুলনায় যাওয়ার পথে সকল বাস-মিনিবাসকে কখনো রাজারহাট আবার কখনো যশোরের নওয়াপাড়ায় আটকে দেওয়া হচ্ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সরেজমিনে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকাসহ মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলা থেকে ছেড়ে আসা যানবহনগুলো যশোর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত এসে খুলনায় ঢুকতে না পেরে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে।

যাত্রীরা বলছেন, ইজিবাইক, লেগুনা, সিএনজিতে করে ভেঙে ভেঙে যশোর থেকে খুলনায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। গণপরিবহনগুলো যশোর টার্মিনাল পর্যন্ত আসলেও খুলনার দিকে আর যাচ্ছে না। ফলে যাতায়াতে অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।যশোর থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা ধরে যশোর টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মশিয়ার রহমান নামে এক বৃদ্ধকে। তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছি, খুলনায় মেয়ের বাড়িতে যাব। মেয়ে গর্ভবতী। কোনো গাড়ি নাই, হয়তো লেগুনা বা ইজিবাইকে ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।

শারমিন আক্তার নামে এক চাকরির পরীক্ষার্থী বলেন, ভোরে এসেছি লেগুনায় করে। খুলনা থেকে যশোর আসতে যেখানে ১৫০ টাকা খরচ হয় সেখানে ৪০০ টাকা লেগেছে। এখন যাবার সময় আবারও ৪০০ টাকা লাগবে। এমন ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। সুরাফ আলী নামে গড়াই পরিবহনের এক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য জেলার গাড়ি যশোর পর্যন্ত এসে যাত্রী নামিয়ে আবার যাত্রী নিয়ে ফিরে যাচ্ছে।

যশোর থেকে খুলনার দিকে যাওয়ার পথে রাজারহাটে কিছু লোকজন শ্রমিক সংগঠনের কর্মী পরিচয় দিয়ে গাড়ি আটকে দিচ্ছে। প্রাইভেট মাইক্রোবাসও খুলনায় ঢুকতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, রাজারহাটে গাড়ি আটকাচ্ছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে যশোর থেকে খুলনায় কোনো গণপরিবহন যাচ্ছে না। গেলেও অভয়নগর বা প্রেমবাগে আটকেয়ে দিচ্ছে। গাড়ি ভাঙচুরের ভয়ে অনেকে গাড়ি ছাড়ছে না।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনা জেলা বাসমালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২১ ও ২২ অক্টোবর বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তবে মালিক সমিতির দাবি- সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধভাবে নছিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে এসব অবৈধ যান চলাচল ও কাউন্টার বন্ধ না হওয়ায় ২১ ও ২২ অক্টোবর পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ