Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইবিতে ছাত্রলীগ কর্মী কর্তৃক ছাত্রী হেনস্তা, বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২২, ১০:২৩ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও সাথে থাকা বন্ধুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগী পাপিয়া পপি বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে ।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা হলের সামনে অবস্থান নিয়ে অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন । এসময় অভিযুক্তদের বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী পাপিয়া পপি ও তার বন্ধু প্রধান ফটকে ঘুরতে যায়। ঐ সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান হাফিজ তার সহযোগীসহ পপিকে জেরা করে। ঘটনার এক পর্যায়ে হাফিজ ও তার সহযোগীদের ভুক্তভেগী পপির সাথে ধস্তাধস্তি হয় এবং পপির সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন।

এর আগে হলের সিট নিয়ে হাফিজের গার্লফ্রেন্ডের (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সায়মা) সাথে পপির কথা কাটাকাটি হয় বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত হাফিজের রেফারেন্সে সায়মা খালেদা জিয়া হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নম্বর রুমের সীটে উঠে।

ভুক্তভোগী পপি বলেন, হাফিজের গার্লফ্রেন্ড সায়মা জানালার পাশের সীট চাইলে আমি বলি সিনিয়াররা জানালার পাশে উঠতে পারে। ঐখানে এক সিনিয়ার আছে তুমি সিনিয়ার হলে জানালার পাশে যেতে পারবে। তাকে সেখানে উঠতে নিষেধ করায় হাফিজ মেইন গেটের সামনে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার ও হেনস্তা করে এবং সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি তাকে শুধু সিনিয়ররা জানালার পাশে উঠতে বলে জানিয়ে দেই। তাকে বলি ওখানে এক সিনিয়ার আছে তুমি সিনিয়ার হলে জানালার পাশে যেতে পারবে। তাকে সেখানে উঠতে নিষেধ করায় হাফিজ মেইন গেটের সামনে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার ও হেনস্তা করে এবং সাথে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন। আমি প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি প্রভোস্টের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ