বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719409648](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় লোডশেডিং করা হয়েছে। কোন কোন এলাকায় সর্বোচ্চ আট থেকে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ ছিলনা। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে টানা লোডশেডিং জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে এ অঞ্চলের শিল্প কারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে।
বিকল্প ব্যবস্থায় কল-কারখানার চাকা সচল রাখতে গিয়ে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। দিনে দিনে বাড়ছে বিদ্যুৎ সঙ্কট। কবে নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে তা জানেন না কেউ। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক ছোটবড় শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, জ্বালানি সাশ্রয় করতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রাখায় সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর গতকাল চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ লোডশেডিং দিতে হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মহানগরী এবং আশপাশের এলাকায় পাঁচ থেকে সাতবার করে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, দিনের বেলায় ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং দিতে হয়েছে। তবে বাস্তবে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছিল আরো বেশি। এর ফলে বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলনা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অফিস-আদালতে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ব্যাংক-বীমায় ব্যাহত হয় লেনদেন। কল-কারখানার উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। হাঁসফাঁস গরমের মধ্যে টানা লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন অসুস্থ, বয়স্ক এবং শিশুরা। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন, পরিশোধন ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। অনেক এলাকায় তীব্র পানি সঙ্কট দেখা দেয়।
নগরীর লালখান বাজারের বাসিন্দা আবদুস সাত্তার জানান, সকাল থেকে ৮/১০ বার লোডশেডিং দেয়া হয়। সব মিলিয়ে দিনে বিদ্যুৎ ছিল দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। বিদ্যুতের অভাবে পানির মোটর ছাড়া যায়নি। ফলে পানি সঙ্কটও দেখা দেয়। মহানগরী এবং এর আশপাশের প্রায় এলাকার চিত্র ছিল এমন। গ্রামে পরিস্থিতি আরও নাজুক।
বিদ্যুতের অভাবে ছোটখাটো কল-কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মার্কেট-বিপণিকেন্দ্রে ক্রেতার হাহাকার চলছে। জেনারেটর চালিয়ে লোকসান গুণছেন ব্যবসায়ীরা। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। স্কুলগুলোতে চলছে ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি। লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ার খেলায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।