পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার ও আইনের শাসন মানুষের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় করার জন্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার ঢাকায় বাংলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন মানবাধিকারকর্মীকে পদক প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায অত্যন্ত আন্তরিক এবং দেশে আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সহিংসতা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান এবং এ ধরনের সহিংসতাকারী অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয় নিশ্চিত করেছে। মানবাধিকার রক্ষায় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালীকরণে সরকার কাজ করছে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিচারব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে। জনগণ যেন তার জানার অধিকার পায় এ জন্য দ্রুততম সময়ে সরকার তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করেছে। গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে, জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করছে। মানুষের অধিকার রক্ষায় যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসবই মানবাধিকার রক্ষার আবশ্যিক উপাদান। তবে পূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের যেতে হবে আরো অনেকদূর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া প্রস্তুতকরণে কাজ চলছে। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর গভর্নিং বডি চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।