Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাজবাড়ীতে পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে প্রতিবন্ধী শাশুড়িকে হত্যার চেষ্টা, পুত্রবধূ গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২২, ৮:১৪ পিএম

স্বামীর অবর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং বিষয়টি অসুস্থ প্রতিবন্ধী শাশুড়ি জানতে পারায় পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে শ^াশুরীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই অভিযোগে মায়মুনা খাতুন ময়না নামে এক পুত্রবধূকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রাজবাড়ী থানায় অসুস্থ প্রতিবন্ধী শাশুড়ি জয়গন বেগম (৬৫) বাদী হয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে হত্যার চেষ্টার অপরাধের অভিযোগ এনে বুধবার একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ময়নাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

মামলার আসামিরা হলো, রাজবাড়ীর বিলনয়াবাদ গ্রামের রেজাউল মোল্লার মেয়ে ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের হাবিবুর প্রামাণিকের স্ত্রী, মামলার বাদীর পুত্রবধূ মায়মুনা খাতুন ময়না (২০) এবং ময়নার পরকীয়া প্রেমিক ও সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মানিক খানের ছেলে আকাশ খান (২৩)।

মামলার প্রতিবন্ধী জয়গন বেগম জানিয়েছেন, তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। তার ছেলে হাবিবুর প্রামাণিক রাজধানী ঢাকায় দর্জির কাজ করে। প্রায় দুই এবার আসে। এ সুযোগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ছেলে হাবিবুরের স্ত্রী মায়মুনা খাতুন ময়না প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে আকাশ খানের সাথে। যে সম্পর্কের অংশ হিসেবে আকাশ মাঝে মধ্যেই লুকিয়ে তাদের বাড়ীতে আসে এবং ময়নার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে ময়নাকে নিষেধ করেন। তবে ময়না তার কথায় কর্ণপাত করেনা। গত ১৭ অক্টোবর সকালে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় তিনি হাতে নাতে ময়না ও আকাশের বিষয়টি ধরে ফেলেন। এতে ময়না ও আকাশ তার উপর ক্ষুব্ধ হয় এবং তাকে হত্যার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। একই দিন বিকালের দিকে সাগর তাদের বাড়ীতে আসে এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য ময়নার কাছে রেখে যায়। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কৌশলে ময়না তকে সরবতের সাথে ওই নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ায়। যার কারণে তিনি ঘুমিয়ে পরেন। ভোর ৪টার দিকে তার ঘুম ভাঙ্গে। তিনি প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে যান। পরে ঘরে আসতেই ময়না ও সাগর দুজনেই তাকে খাটের উপর ফেলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে তিনি বালিশ সরিয়ে চিৎকার করেন। ওই সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। তারা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করতেই সাগর কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সে সময় তারা বিষয়টি রাজবাড়ী থানা পুলিশকে অবহিত করে।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই আতিয়ার রহমান বলেন, ওই মামলার প্রধান আসামি ময়নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সাথে সাগরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ