বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, যে কোন পরিস্থিতিতে ২২ অক্টোবরের গণ সমাবেশ অতি অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। নেতাকর্মীরা যতোই আঘাতপ্রাপ্ত হোক, জন উৎসাহ কোনক্রমেই ঠেকানো যাবেনা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং পাঁচ সহকর্মী হত্যার বিচার আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন বিভাগীয় গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তার অভিযোগ, বিএনপির কর্মসূচিকে বাঁধাগ্রস্থ করতেই দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচার মাইকে হামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬টি মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। দুইটি মাইক লুটে নেয়া হয়েছে। প্রচারণার কাজে অংশ নেয়া কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। নদী পথে ট্রলার বন্ধ করে জনসমাগম বাঁধাগ্রস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্ত কোন বাঁধাই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ রুদ্ধ করতে পারবেনা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহীর উপস্থিত ছিলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশ কর্মসূচি দুই মাসের। সরকারের ব্যর্থতায় নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। দেশবাসী নিরাপত্তাহীন। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল, সেই স্বাধীনতা আজ নেই বললেই চলে। গণতন্ত্র নির্বাসিত। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে সমাবেশ ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দুদু বলেন, এই বাহিনী বাংলাদেশের। কোন দলের না। নিজের স্বার্থে, দলের স্বার্থে তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অতীতে কোন আইজিপি অবসরে যাওয়ার পর পুলিশ সাথে নিয়ে ঘুরতে হয়নি। আমেরিকা মানবাধিকার প্রশ্নে সাত জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিএনপি স্বৈরতন্ত্রকে বিদায় জানিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করছে। যারা স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান করছেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই দিনই শেষ দিননা। আরও দিন আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশ কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কর্মসূচি সফল করতে আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি। নেতাকর্মীরা কোন লাঠি বহন করবে না, তবে তারা প্লাকার্ড বহন করবে বলে জানান তিনি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের কর্মসূচির সফলতা দেখে শাসক দল ও প্রশাসন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তারা খুলনার কর্মসূচি বাঁধাগ্রস্থ করতে চায়। ইতিমধ্যে সমস্ত পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। খেয়াঘাট বন্ধ করে দিয়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, বিভাগীয় কর্মসূচি বানচাল করতে পুলিশ সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে। মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবির আলী, ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বুলবুল মোল্লার বাড়িতে পুলিশ গত রাতে অভিযান চালিয়েছে। সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার কয়েকজন দারোগা মটর সাইকেল বহর নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। বিএনপি কোন ধরনের সহিংসতা চায় না। কিন্ত এসব অপতৎপরতা চালিয়ে গণ সুনামিকে রুদ্ধ করা যাবেনা।
প্রেস ব্রেফিংয়ে মহানগর ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়কদের মধ্যে খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, শামীম কবির, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, এনামুল হক সজল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।