পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খলিলুর রহমান : রোববার বেলা ১১টা। ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে হাজির করা হচ্ছিল। পুলিশ যখন তাকে গাড়ি থেকে নামাচ্ছিল, ঠিক তখন সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে যান। এ সুযোগে বদরুল খাদিজার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গালাগাল করে নিজের ফাঁসি দাবি করেন। তিনি চিৎকার করে খাদিজাকে ‘প্রতারক, বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করেন। বদরুল আলম ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘খাদিজার মতো মেয়ে হয় না, সে খুব ভালো!’
নিজের ফাঁসি দাবি করে ক্ষুব্ধ বদরুল আলম বলেন, ‘খাদিজার জয় হোক, আমার ফাঁসি হোক’।
এদিকে আদালতে গতকাল বদরুলের বিরুদ্ধে খাদিজার মা-বাবাসহ আরো ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীরা হচ্ছেনÑ খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক সরাবন তহুরা, ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তার আতাউল গনি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ, প্রত্যক্ষদর্শী তামান্না প্রমুখ।
আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আজ ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন। সেদিন স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং খাদিজাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরাণ থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে ৩২৪, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। গত ৫ ডিসেম্বর ১৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এ নিয়ে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদি হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এছাড়া ঘটনার পর শাবি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে। এদিকে, খাদিজা এখনো ঢাকার সাভারে সিআরপিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।