Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাওলানা বুলবুলির সংবাদ সম্মেলন

ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান ইসমাইলের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ ও ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগ

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ৬:০০ পিএম

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের ভয়ঙ্কর প্রতারণা, হজ্জ এজেন্সির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও একের পর এক মিথ্যা মামালা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা আজিজুর রহমান বুলবুলি।

বোর্ড বাজারে বুলবুলি হজ্জ ট্রাভেলস কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল হোসেনকে লেবাসধারী আলেম, কথিত মাওলানা ও প্রতারক আখ্যা দিয়ে মাওলানা আজিজুর রহমান বুলবুলি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইসমাইল হোসেন যশোরে দারুস সুন্নাহ আজিজিয়া মাদ্রাসার নামে নকল প্যাড বানিয়ে এবং মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান বুলবুলির স্বাক্ষর জাল করে ৩ মেট্রিক টন চাউলের একটি ভূয়া বরাদ্ধপত্র তৈরি করেন। ইসমাইল হোসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সীল-স্বাক্ষর জাল করে উক্ত ভূয়া বরাদ্ধপত্রটি ওয়ার্ডঅ্যাপে বুলবুলির কাছে পাঠান এবং যশোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসে যোগাযোগ করে বরাদ্ধের চাউল আনতে বলেন। পরবর্তীতে বুলবুলি যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন বরাদ্ধপত্রটি ভূয়া। ইসমাইল হোসেন প্রতিমন্ত্রীর সীলমোহর ও নাম স্বাক্ষর জাল করে তাকে (বুলবুলিকে) প্রতারণার ফাঁদে আটকানোর চেষ্টা করছেন। এঘটনায় বুলবুলি যশোর জেলা প্রশাসকের পরামর্শে ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ইসমাইল হোসেন ও তার সহযোগী আলী হায়দারের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পর থেকে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য ইসমাইল হোসেন বাদী বুলবুলিকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মামলা তুলে না নেওয়ায় ইতিমধ্যে বুলবুলির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মিথ্যা মামলা ও সংবাদমাধ্যমে তার হজ্জ এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বুলবুলি বলেন, ইসমাইল হোসেন আমার কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ ও নগদ ১ লাখ মোট ৭ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহার আশ্রয় নিলে ইসমাইল হোসেনের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে তিনি জিএমপি গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও (নং-১৭৫২) করেন। অপর প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল হোসেনকে অশিক্ষিত দাবী করে তিনি বলেন, তার (ইসমাইলের) কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তিনি একজন লেবাসধারী ও স্বঘোষিত মাওলানা।

উল্লেখ্য, সাবেক ওলামালীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ ইউনাউটেড ইসলামিক পার্টি গঠন করে নিজে পার্টির চেয়ারম্যান মনোনীত হন।

এদিকে এব্যাপারে ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি যে কোন মন্ত্রীকে অনুরোধ করলে সাথে সাথে অ্যাকশন, ২ টন, ৫টন, ৫০ টন চাউল কোনো ব্যাপার না। আমি ভূয়া বরাদ্ধপত্র বানাতে যাব কেন ? আমার সম্মানহানী করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওলামা লীগের সভাপতি ছিলাম। আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ওলামালীগকে অনুমোদন না দেওয়ায় ২০১৪ সালে ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি গঠন করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ