বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দিন গেলেই যেন মহামারি আকার ধারণ করছে। গোটা হাসপাতালটিই ডেঙ্গু রোগীতে যেন গিজ গিজ করছে। কোথাও তিল ধারনের জায়গা অবশিষ্ট নেই। হাসপাতালের বেড ছেড়ে এখন বারান্দা, গলিপথ এমনকি সিঁড়ির পাশেও রোগী ভর্তি করে রাখা হয়েছে। গত রোববার সকাল ১০টা হতে গত সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১০ জন। সময় যত গড়াচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও জ্যামিতিকহারে যেন বাড়ছে।
হাসপাতালের দেয়া তথ্য মতে গত সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলো ৫১ জন। রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশা করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় রীতিমত আতংকিত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ ডেঙ্গু। ফলে ডেঙ্গুর এই ভয়াবহতা সামাল দিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে সকলেই। হাসপাতালের রেজিস্টার হতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি মাসের ১ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত গত ১৭ দিনে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ১শ’ ৩০ জন।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দিন গেলেই যেন বাড়ছে। শত চেষ্টায়ও এ প্রকোপ রোধ করা যাচ্ছেনা। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে অন্যান্য রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা দুরূহ হয়ে পড়েছে। সেইসাথে এত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক প্রশ্নে ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পার্শ্ববর্তী মণিরামপুর উপজেলাতেও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রয়েছে। তবে সেখানে ডেঙ্গুর টেস্ট কম হওয়ায় নজরে আসছেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।