Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেখ রাসেল, উজ্জ্বল সম্ভাবনার নিষ্ঠুর হত্যা : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, শেখ রাসেল হতে পারতেন বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার নবতর দূত, যে শিশুটি বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে এবং তাঁর সামাজিকীকরণের প্রভাবে অপার গুণাবলি, মানবিকতা, সাহসিকতা ও নতুন পৃথিবীর নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠতে পারতেন; সেই শিশুটির সকল সম্ভাবনাকে হত্যা করা হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। যে শিশুটির অধিকার ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে নিজেকে নিজস্ব স্বকীয়তায় গড়ে তোলার, সবুজে-শ্যামলে, ¯িœগ্ধতায়, অপূর্ব বাংলায় নিজেকে মেলে ধরার, তুলে ধরার; স্বাধীন বাংলাদেশে সেই শিশুটিকে প্রত্যুষের আলো ছড়ানোর আগেই পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দেয়া হলো। আজও তার উত্তর খুঁজে পাওয়া গেলো না- কী ছিল সে শিশুপুত্রটির অপরাধ?’

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) আয়োজিত শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাÐ: ন্যায়বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. মশিউর রহমান বলেন, রাসেলের সেই ভয়ার্ত কণ্ঠ যেন আজো শঙ্কা ছড়ায় বাংলাদেশের ভিতে, যেন আজো আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করেÑ কেমন করে বাঙালি কুলাঙ্গার সন্তানরা হত্যা করে জাতির পিতাকে? এমনকি ১০ বছরের শিশুপুত্রকেও। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লাশ পাঠানো হয়েছিল নিভৃত গোপালগঞ্জে যেনো তাঁর অস্তিত্ব কেউ খুঁজে না পায়। ইতিহাস হত্যকারীদের উল্টোপথে হেঁটেছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরের জায়গা আজ বাঙালির তীর্থে পরিণত হয়েছে। আর শিশুপুত্র রাসেল আজ বাস করে কোটি কোটি বাঙালীর হৃদস্পন্দনে, রাসেল বসবাস করে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে হত্যার বিচারের দাবি হয়ে।

জাতীয় বিশ্বব্যিালয় ভিসি আরও বলেন, ‘আর কোনোদিন যেনো কোনো খুনির ষড়যন্ত্র উদ্যত না হয়, রাসেলের কফিন আমাদের সেই মিছিলে শামিল করে। রাসেল তার নিজ হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালিকে আরও শুদ্ধ করে ক্রমাগত। তাই রাসেল বিস্মৃত হয় না, বেঁচে থাকে, জেগে থাকে আমাদের মধ্যে। রাসেল আমাদের তাড়না হয়ে, চেতনা হয়ে, জাগ্রত আলোকবর্তিকা হয়ে সমাজের পাহাড়ায় সজাগ রাখে সর্বক্ষণ।’

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে জাতীয় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, সূচনা ফাউন্ডেশনের সিওও ডা. সাকি খোন্দকার। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ