বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গ্রিসে অনিয়মিত ভাবে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীরা দেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে ভুগছেন। গ্রিস সরকার ৮ অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে সোমবার রাতে একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো গ্রিস থেকে অনিয়মিত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়। ৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা ও অনিয়মিত বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রিস থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।
জানা গেছে, দেশে ফেরত পাঠানো উল্লেখিত ৮ জনের আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছে এবং তারা দেশটিতে কোনোভাবেই বসবাসের সুযোগ বা বৈধতার আওতায় আসতে পারবেন না। তাই তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে গ্রিস কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানিয়েছে। গ্রিক সরকারের তথ্য মতে, ২০১৬ সালের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ১৯ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। সমন্বিত পুলিশি অভিযানে ১৯ বাংলাদেশিকে আটক করে সরাসরি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এর ৬ মাস পর চলতি বছরের গত জুলাই মাসে গ্রিসের মিনেদি ক্যাম্প ও সাইপ্রাস থেকে ২৭ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। এর পর অনিয়মিত বাংলাদেশিদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছিল।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ চুক্তিতে নতুন জনশক্তি রফতানি ও অনিয়মিতদের বৈধ করার কথা ছিল। গ্রিসে বসবাস করেন প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। গ্রিক সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৈধ অনুমতি নিয়ে দেশটিতে বসবাস করা বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। এর বাইরে অনেকে রয়েছেন যাদের বসবাসের অনুমতি নেই বা আশ্রয় আবেদন বাতিল হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপের দেশগুলো থেকে এমন অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসেডিউর্স চুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় অনিয়মিত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।